সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবে অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া। গুঞ্জন ছিল জাতীয় দলেও এ রকম কিছু হওয়ার। সেই গুঞ্জনের নিষ্পত্তি করেছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। জামালের হাতেই থাকছে জাতীয় দলের আর্মব্যান্ড।

জাতীয় দল দেশ ছাড়ার আগে সাধারণত হেড কোচ ও অধিনায়কই সংবাদ সম্মেলনে আসেন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক প্রারম্ভিক বক্তব্যে জামালের পরিচয় দেন, ‘দলের অন্যতম খেলোয়াড়’ হিসেবে। তখন উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্ন জাগে। তাহলে জামাল কি অধিনায়ক নন? কোচের কাছে এই প্রশ্ন করলে তিনি অকপটে বলে দেন, ‘জামালই আমাদের অধিনায়ক। এটা নিয়ে কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই।’

জাতীয় দলের ক্যাম্পে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা রিপোর্ট করেছেন। স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলে ডাক পাননি এলিটা কিংসলে। এএফসি কাপে এলিটা বাংলাদেশি হিসেবে খেললেও জাতীয় দলে বিবেচিত হননি। এলিটা কিংসলে ঘরোয়া ফুটবলে নিয়মিত বিরতিতে গোল পেয়েছেন। নবীব নেওয়াজ জীবন দেশের ফুটবলের পরীক্ষিত স্ট্রাইকার। শৃঙ্খলা কারণে তিনি দল থেকে বাদ পড়েছেন।

সুমন রেজা, মতিন মিয়ার মতো ফরোয়ার্ডরা ইনজুরির জন্য হয়তো শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া ফুটবলে নিয়মিত গোল করা এলিটা কিংসলে হতে পারতেন ক্যাবরেরা বিকল্প। কিন্তু এলিটাকে নিয়ে এখনো সংশয়ের মধ্যে আছেন এই স্প্যানিশ কোচ,‘তার বৈধতা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে।’

এলিটা দলে না থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি একটি লাইনই বলেছেন উত্তরে। সেখানে ‘কনসার্ন এবাউট এলিজিবিলিটি’ বাক্যটি ব্যবহার করেছেন। হ্যাভিয়ের এলিটার আইনত বৈধতা নাকি খেলোয়াড় হিসেবে পারফরম্যান্সের যোগ্যতার বিষয়টি বুঝিয়েছেন সেটা অবশ্য স্পষ্ট করেননি।

এলিটা বসুন্ধরা কিংসের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে কিছু সময় খেলেছেন মূলত ঘরোয়া লিগে। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের দৃষ্টিতে এলিটা ১৫-২০ মিনিট খেলেছেন গড়ে কিংসের হয়ে প্রতি ম্যাচে। তাই তাকে জাতীয় দলের জন্য সেভাবে ভাবতে চায়নি জাতীয় দল ম্যানেজম্যান্ট। এলিটার আরেক সতীর্থ মাহবুবুর রহমান সুফিল নিয়মিত একাদশে না থেকেও চূড়ান্ত দলে জায়গা পেয়েছেন।

এজেড/এটি/এইচএমএ