এবারও পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন সত্যি হয়নি। আগের দু’বার তাও ফাইনাল আর সেমিফাইনালে খেলেছিল দলটি। তবে এবার লিওনেল মেসি-সার্জিও রামোসদের দলে নিয়েও পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ হয়ে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই। আর পিএসজির এই স্বপ্নে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া দলটি রিয়াল মাদ্রিদ। 

সেখানেই থামেনি, রিয়াল এবার চলে এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও। নিজ দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ হয়েছে যে দলের বিপক্ষে, আজ রাতের ফাইনালে সেই রিয়াল মাদ্রিদেরই সমর্থন দেবেন বলে জানালেন পিএসজির আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো।  

পচেত্তিনোর ভাষ্য, ‘এটা পরিষ্কার যে আমার হৃদয় যতটা না লাল, তার চেয়ে বেশি সাদা।’ রিয়ালের প্রতি এমন ভালোবাসা কেন, সেটাও জানালেন তিনি। বললেন, ‘রিয়ালের প্রতি দুর্বলতাটা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে যখন আমি বার্সেলোনায় এলাম। আমি ভাগ্যবান ছিলাম যে আমার কোচ ছিলেন হোসে অ্যান্তোনিও কামাচো, তিনিই রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসাটা আমার ভেতর জাগিয়ে তুলেছিলেন।’

রিয়ালে কখনো খেলেননি পচেত্তিনো, কোচও হননি কখনো; তবু পচেত্তিনো জানালেন, রিয়ালের প্রতি ভালোবাসাটা প্রগাঢ় তার। বললেন, ‘খেলোয়াড় বা কোচ হিসেবে কখনোই মাদ্রিদে ছিলাম না আমি। কিন্তু দলটার প্রতি আমার আবেগটা স্পষ্ট।’

এ তো গেলো আবেগের কথা, মাঠের খেলায় কে ফেভারিট, সে প্রশ্নও ধেয়ে গিয়েছিল পচেত্তিনোর কাছে। তার উত্তর, ‘আমি জানি না রিয়াল মাদ্রিদ ফেভারিট কি না। গ্রুপ পর্ব আর নকআউটে চার ম্যাচ হেরেও মাদ্রিদ যেভাবে এগিয়েছে, তাতে তাদেরকেই বেশি দাবিদার মনে হচ্ছে।’

তাই বলে লিভারপুলের সম্ভাবনাও একেবারে নেই, তেমনটা মোটেও মনে হচ্ছে না পচেত্তিনোর। বললেন, ‘এতে মনে হতে পারে মাদ্রিদ ফেভারিট, তবে লিভারপুলও বেশ দারুণ একটা দল, তাদের কোচ এমন একজন, যার গুণমুগ্ধ আমি। তাদের এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা ফাইনালে উঠেছে, জিতেছেও।’

তবে সব মিলে রিয়ালকেই এগিয়ে রাখছেন পচেত্তিনো, ‘আমরা দেখবো, তবে মাদ্রিদের সবচেয়ে বেশি শিরোপা আছে, তারা সবচেয়ে বেশি ফাইনালে খেলেছে। ইতিহাস তো আছেই, তাদের শক্তির কারণে তারা বেশ বিপদজনক।’

এনইউ