ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সোনার হরফেই লেখা থাকবে কার্লো অ্যানচেলত্তির নাম। থাকবেই না কেন, ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে যে তিনি জিতেছেন ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা! তবে এমন কীর্তির পর রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জানালেন, এ রেকর্ডের কথা বিশ্বাসই হচ্ছে না তার।

প্যারিসের মাটিতে রিয়াল ভুগেছে বেশ। গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে করতে হয়েছে ৯টি সেভ, সেটাও এক রেকর্ড বটে। তবে তার এই কীর্তির ফলে রিয়াল গোল হজম করেনি অন্তত। তাই ম্যাচের ৬০ মিনিটে করা ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলটাই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। আর রিয়াল মাদ্রিদ ঘরে তুলেছে রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। 

এমন কীর্তির পর অ্যানচেলত্তির প্রতিক্রিয়া, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না আমি চারটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে গেছি! আমরা ভুগেছি বেশ। কিন্তু দলের নিবেদনটা নিখুঁত ছিল। আমরা অনেক খুশি, কারণ আমরা বেশ ভালোভাবে মৌসুমটা শেষ করেছি। আলাবা, মিলিতাও, মেন্দিরা বেশ ভালো ছিল। পরিকল্পনাটা ভালোভাবেই কাজে দিয়েছে। কোর্তোয়া দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছে।’ 

তবে আগের তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার চেয়ে এবারেরটাই কঠিন ছিল তার, সেটা অকপটেই মেনে নিলেন অ্যানচেলত্তি। বললেন, ‘এটা আমার জেতা সবচেয়ে কঠিন শিরোপা। কেউ ভাবেনি আমরা জিততে পারব, এটা আমাদের সাহায্য করেছে, দলে নিবেদন, আত্মবিশ্বাস, লড়াকু মনোভাব এনেছে বিষয়টা। আমরা ভালো একটা পরিবেশ তৈরি করেছিলাম। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত গুণগুলো।’

শেষ ষোলো থেকে রিয়ালের লড়াইয়ের শুরু। প্রতি রাউন্ডেই বিদায়ের দুয়ারে থেকে ফিরে এসেছে রেকর্ডবারের চ্যাম্পিয়নরা। ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শুরুর আধাঘণ্টাতেই যে কোর্তোয়াকে গোটাছয়েক সেভ দিতে হয়েছিল গত রাতে! এরপরও লিভারপুলকে হারাতে সক্ষম হয়েছে অ্যানচেলত্তির দল। তাতে ইতালিয়ান এই কোচের মনে হচ্ছে, রিয়ালকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাটা তুলনামূলক সহজ একটা কাজই।

তিনি বলেন, ‘লিভারপুল খুব একটা ম্যাচ হারেনি এই বছর। আমরা তাদের দারুণ একটা লড়াইয়ের পর হারিয়েছি। অন্য সব দলের চেয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাটা সহজ।’

এনইউ/এটি