বাংলাদেশ ফুটবল দল বিশ্বকাপে খেলে না। মূল পর্বে অংশগ্রহণ না করেও বাংলাদেশে উন্মাদনার মাত্রা বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বেশি। এ বছরের নভেম্বরে কাতারে বসছে বিশ্বকাপ আসর। পাঁচ মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে উন্মাদনা।

২০১৮ বিশ্বকাপের সময় লিওনেল মেসি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে বাংলাদেশি ভক্তদের আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি সমর্থন জানাতে দেখা যায়। বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের এ আবেগের কথা তুলে ধরেছে ফিফা-ও।

৮ জুন কোকা-কোলার উদ্যোগে বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুর। ফুটবলের প্রতি সেই আবেগ, সেই উন্মাদনা আবার জাগিয়ে তোলার জন্য আকা হচ্ছে গলি গ্রাফিতি। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছে শিল্পীর রং-তুলি। এক দল দেশীয় চিত্রশিল্পীদের নিয়ে ‌‘গলি গ্রাফিতি’ নামের স্ট্রিট আর্ট ওয়ার্ক ক্যাম্পেইনটি এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।

বনানী-১১ ও গুলশান সংযোগ সেতুর পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসার্স কোয়াটার্সের ১২ হাজার স্কয়ার ফুটের দেয়ালে প্রথম গ্রাফিটির কাজ চলছে। রং-তুলির মাধ্যমে আবেগ প্রকাশের এ উদ্যোগে অন্য শিল্পীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন। 

আর্ট ওয়ার্কের পরিকল্পনা ও ডিজাইনের দায়িত্বে আছেন মেহেদী হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের স্নাতক মেহেদী তার স্টাইলের প্রকাশ ঘটান মিনিমালিস্ট কৌশলের সঙ্গে রং ও ফর্মের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে। আর আর্ট ওয়ার্কের কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছেন একদল শিল্পী।

প্রাচীনকাল থেকেই যোগাযোগ ও অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে চিত্রশিল্পকে ব্যবহার করে এসেছে মানুষ। গ্রাফিতিও এমন এক ধরনের চিত্রশিল্প। স্ট্রিট গ্রাফিতি হচ্ছে আবেগ আর অনুভূতি প্রকাশ করার একটা চমৎকার উপায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাফিতি হয়ে উঠেছে মানুষের বিশ্বাস, উদ্দীপনা ও আবেগ প্রকাশের একটি মাধ্যম।

ফিফার সঙ্গে কোকা-কোলার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের শুরু ১৯৭৬ সালে। পাশাপাশি, ১৯৭৮ সাল থেকে কোম্পানিটি ফিফা বিশ্বকাপের অফিশিয়াল স্পন্সর। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একটি সতেজ ও নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোকা-কোলা।

এজেড/ওএফ