বাংলাদেশ কখনো কোনো ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি। নিকট ভবিষ্যতে যোগ্যতা অর্জন করবে তেমন সম্ভাবনাও নেই। তাই বলে এই দেশে ফুটবল উন্মাদনার কমতি কোথায়? এই খেলাটিকে ঘিরে একটা উৎসব আমেজ থাকে সব সময়ই। আর বিশ্বকাপ এলে সেটা হয়ে যায় দ্বিগুণ!

অনেক সময় বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশগুলোর তুলনায় এই উন্মাদনার মাত্রা অনেক বেশি থাকে বাংলাদেশেই। ২০১৮ বিশ্বকাপের সময় লিওনেল মেসি একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, যেখানে বাংলাদেশি ভক্তদের আর্জেন্টিনা ও মেসির প্রতি সমর্থন জানাতে দেখা যায়। বাংলাদেশের ফুটবলভক্তদের এই আবেগের কথা তুলে ধরেছে বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা ফিফাও। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলকেও দর্শকদের এমন আবেগ ও সমর্থন পেতে দেখেছি আমরা। 

বুধবার থেকে শুরু হয়েছে কোকা-কোলার উদ্যোগে বাংলাদেশে “ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২” ট্রফি ট্যুর। ফুটবলের প্রতি সেই আবেগ, সেই উন্মাদনা আবার জাগিয়ে তোলার জন্য এই আয়োজন একটি দারুণ সুযোগ। 

প্রতিটি বিশ্বকাপের সময় গোটা বাংলাদেশ, বিশেষত ঢাকা শহরের মানুষেরা উৎসবে মেতে ওঠেন। এ বছর অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের মানুষের মনে ফুটবলের প্রতি প্রেমকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে চায় কোকা-কোলা। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছে শিল্পীর রং-তুলি। এক দল দেশীয় চিত্রশিল্পীদের নিয়ে “গলি গ্রাফিতি” নামের স্ট্রিট আর্ট ওয়ার্ক ক্যাম্পেইনটি এই লক্ষ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। 

বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের ফুটবলের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা ও ফুটবলকে ঘিরে তাদের উদযাপনের কথা এই আর্ট ওয়ার্কের মাধ্যমে তুলে ধরছেন শিল্পীরা। গ্রাফিতিগুলোতে আরও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে ফুটবলের প্রতীক, মহাতারকা ও ভক্তদের। এছাড়া দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য রিকশাচিত্রের মতো দেশীয় মোটিফের ব্যবহারও থাকছে। 

রাজধানীর বনানী ১১ ও গুলশান সংযোগ সেতুর পাশে অবস্থিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসার্স কোয়াটার্সের ১২,০০০ স্কয়ার ফিট দেয়ালে বর্তমানে প্রথম গ্রাফিটির কাজ চলছে। রং-তুলির মাধ্যমে আবেগ প্রকাশের এই উদ্যোগে অন্য শিল্পীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন। এই উদ্যোগের পরিকল্পনা, ডিজাইন ও বাস্তবায়নের কাজটি করছে কোকা-কোলার পিআর এবং কমিউনিকেশনস পার্টনার বেঞ্চমার্ক পিআর। ক্যাম্পেইনের পেইন্ট পার্টনার এশিয়ান পেইন্টস।          

এটি