এশিয়া কাপ বাছাইপর্বে চার দলের ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশ হেরে বসেছে প্রথম দুই ম্যাচে। এই দুই হারের পরও বাংলাদেশের এশিয়া কাপের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি।

বাহরাইন স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। গতকাল রাতের ম্যাচের এই ফলাফলে বাংলাদেশ দুই ম্যাচ হেরেও গাণিতিকভাবে টুর্নামেন্টে টিকে আছে। একেবারে মৃদু সম্ভাবনা আছে এশিয়া কাপ খেলারও; সেটা অনেক যদি কিন্তুর উপর। 

‘ই’ গ্রুপে বাহরাইনের দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬। মালয়েশিয়া ও তুর্কমেনিস্তানের ৩ পয়েন্ট আর বাংলাদেশের শূন্য। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ স্বাগতিক মালয়েশিয়াকে হারালে ও বাহরাইন শেষ ম্যাচেও জিতলে বাহরাইন বাদে গ্রুপে ৩ দলের পয়েন্ট হবে সমান ৩। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী হেড টু হেড বিবেচনায় তিন দল একে অন্যের সাথে জয় ও পরাজয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে হিসাব হবে গোল ব্যবধান। 

বাংলাদেশ ২ গোলের ব্যবধানে মালয়েশিয়াকে হারালে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার গোল ব্যবধান সমান ১ হবে। তখন বেশি গোল দেওয়ার হিসাবে মালয়েশিয়া গ্রুপ রানারআপ হবে। বাংলাদেশকে ই গ্রুপের রানার্স আপ আপ হতে হলে স্বাগতিকদের ৩ গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে এবং বাহরাইনকে জিততে হবে। বাহরাইন তুর্কমেনিস্তানকে হারাতে পারলেও বাংলাদেশ মালয়েশিয়াকে বুকিত জলিলে হারানো অনেক কঠিন। 

গ্রুপে বাংলাদেশের দুই সমীকরণ মিলে গেলে এবার তাকাতে হবে অন্য গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপ ছাড়া বাকি চার গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ৪ দলের পয়েন্ট ৪ এর  অধিক। ফলে সেরা পাঁচ রানারআপ হতে বাংলাদেশের তাকিয়ে থাকতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালের গ্রুপে। সেখানে জর্ডান কুয়তকে ৪ গোলে ও ইন্দোনেশিয়াকে নেপাল ২ গোলে হারালে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ রানারআপের একটি হওয়ার সুযোগ থাকবে। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশের মধ্যে ভারত ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে রানারআপ হওয়া নিশ্চিত। পাশাপাশি সেরা পাঁচ রানারআপের মধ্যে থাকাও অনেকটা নিশ্চিত। শেষ ম্যাচে ভারত হারলে অন্য পাঁচ গ্রুপের রানার্সআপের পয়েন্ট ৬ হলে সেক্ষেত্রে ভারত বাদ পড়তে পারে। সেই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, অনেকটা বাংলাদেশের সেরা পাঁচ রানারআপ হওয়ার মতো। গাণিতিকভাবে বাংলাদেশের যেমন এখনো এশিয়া কাপ খেলার সুযোগ রয়েছে তেমনি ভারতেরও বাদ পড়ার। তবে বাস্তবিক অর্থে ভারত এশিয়ার সর্বোচ্চ আসরে খেলার অপেক্ষায় মাত্র আর বাংলাদেশ এক রাশ হতাশা নিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায়। 

১৯৮০ সালে একবারই এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর আর এশিয়ার সর্বোচ্চ মঞ্চে খেলা হয়নি। এবার এশিয়া কাপের বাছাই একটি ভেন্যুতে ও এক রাউন্ড ভিত্তিক হওয়ায় বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। দুই ম্যাচ হেরে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই শেষের পথে।

এজেড/এটি/এনইউ