লিভারপুল সমর্থকদের কাছে লুইস সুয়ারেজ একটি বিশেষ নাম। অলরেডদের হয়ে ২০১১-১৪ পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। সুয়ারেজ ক্লাব ছেড়ে গেছেন প্রায় আট বছর হয়ে গেল, এর মধ্যে উরুগুয়ের আর কোনো খেলোয়াড়কে দেখা যায়নি লিভারপুলের লাল জার্সিতে। তবে এবার দীর্ঘসময় পর আবারও সুয়ারেজের দেশ থেকে কাউকে দলে টানছে লিভারপুল, বেনফিকার হয়ে খেলা সেই উরুগুইয়ানের নাম দারউইন নুনেজ। সম্ভাবনাময় এই ফরোয়ার্ডের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করছে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানারআপ লিভারপুল।

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, নুনেজ এবং তার বর্তমান ক্লাব বেনফিকার সঙ্গে এরই মধ্যে লিভারপুলের আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। ৮০ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭৮৮ কোটি টাকায় তাকে দলে ভেড়াচ্ছে লিভারপুল, বোনাস সহ যা বেড়ে দাঁড়াবে ১০০ মিলিয়ন ইউরো বা ৯৮৫ কোটি টাকা। এই দলবদল সম্পন্ন হলে নুনেজই হবেন লিভারপুল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ফুটবলার।

জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়ে এখন স্পেনে অবস্থান করছেন নুনেজ। সোমবার (১৩ জুন) ইংল্যান্ডে যাবেন তিনি, সেখানে দলবদলের জন্য মেডিকেল হবে তার, এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে সই করবেন। চুক্তির মেয়াদ হবে ২০২৮ পর্যন্ত। 

গত কয়েক মৌসুম আক্রমণভাগ নিয়ে নিশ্চিত ছিল লিভারপুল। মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনোর মধ্যে লিগের অন্যতম সেরা ত্রয়ীকে পেয়েছিল লিভারপুল। তবে গত মৌসুমে ফিরমিনোর চোট এবং ফর্মহীনতা, সালাহ এবং মানের নতুন চুক্তি নিয়ে জটিলতা তাদের আক্রমণভাগ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। এরই মধ্যে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তো থেকে গত জানুয়ারিতে কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াজকে দলে ভিড়িয়েছে তারা, গত মৌসুমে উলভস থেকে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়োগো জোতাকেও দলে টেনেছিল। নুনেজ যোগ দিলে সালাহ-মানে-ফিরমিনো ত্রয়ীর উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি হয়ে যেতে পারে জোতা-দিয়াজ-নুনেজ ত্রয়ী।

২০২০ সালে স্প্যানিশ ক্লাব আলমেরিয়া থেকে বেনফিকায় যোগ দিয়েছিলেন নুনেজ। পর্তুগিজ ক্লাবটির হয়ে দুই মৌসুমে ৮৫ ম্যাচে করেছেন ৪৮ গোল। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে ৬ গোল করে নজর কেড়েছিলেন ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

এইচএমএ