বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেছিলেন এক গোল, করিয়েছিলেন দুই গোল। জাতীয় নারী ফুটবল দলে সাবিনার গোলই সর্বোচ্চ। নারী ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলাদাতার গোল করিয়েও দারুণ আনন্দিত হন।
 
আগামীকাল ম্যাচের আগে নানা বিষয়ে আজ বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। আগের ম্যাচে আখি খাতুন জোড়া গোল আর সাবিনা করেছিলেন একটি। কালকের ম্যাচে আখিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আসলে আমি গোল করতে পছন্দ করি আবার গোল করিয়েও আনন্দ পাই’। নিজে গোল করে না গোল করিয়ে কোনটায় বেশি আনন্দ ? এর উত্তরে সাবিনা বলেন, ‘আসলে এটা সময় ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। কখনো গোল করে অনেক আনন্দ আবার কখনো গোল করিয়েও।’

আগের ম্যাচে ৬ গোলে জিতলেও কালকের ম্যাচটি একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আঁচ করছেন অধিনায়ক, ‘মালয়েশিয়া ছয় গোলে হেরেছে নিশ্চয়ই তারা অনেক পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে হাজির হবে।’ সাবিনাদের কোচ ছোটন অবশ্য সেই কৌশল ভেদ করার পরিকল্পনাও করেছেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলে জিততে চাই।’

অধিনায়ক সাবিনা ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সুন্দর ফুটবল উপহারের কথাও বলেছেন, ‘আমরা অনেক সময় ১৫ পাস খেলেছি। যেটা দেখে অনেকে অবাক হয়েছেন নারীরা এত পাস খেলে গোল করছে। শুধু জয় নয়, সুন্দর খেলাটাও একটা বিষয়।’

ম্যাচের আগের দিন বল নিয়ে অনুশীলন করাননি ছোটন। রিকভারিতে বেশি সময় কেটেছে ফুটবলারদের। স্বপ্না কিছুটা ইনজুরিতে রয়েছেন। আগামীকাল সকালের মধ্যে স্বপ্নার উন্নতি না হলে একাদশে একটি পরিবর্তন আসতে পারে।
 
আগামীকাল বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে। ম্যাচ শেষে সিরিজ জয়ী দল ট্রফি উপহার পাবে।
 
এজেড/এইচএমএ