প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী। ক্রীড়াঙ্গনে সব কিছুর খোঁজ খবর যেমন রাখেন তেমনি রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে ক্রীড়াঙ্গনের ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানান। আজ শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাওয়া পয়েন্টে সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই। 

এক সময়ের তারকা অ্যাথলেট ফরহাদ জেসমিন লিটি কিছু দিন আগে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। সেই পুরস্কার পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ায় বেশ খুশি এই কৃতি অ্যাথলেট, ‘প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়ামোদী মানুষ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে নিজেকে খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে। দেশের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত থাকা সত্যি ভাগ্যের বিষয়।’ লিটির সঙ্গে ছিলেন আরেক ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠক বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা।

ফুটবল ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তাই সশরীরে উপস্থিত ছিলেন আজকের অনুষ্ঠানে। বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী খুলনার সংসদ সদস্য। এই পদ্মা সেতু তার অঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ বলে মনে করেন এই সাবেক ফুটবলার, ‘এই সেতু আমাদের জন্য এক সময় ছিল স্বপ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কারণে এখন এটি বাস্তব হয়েছে। অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল এই সেতুকে ঘিরে, প্রধানমন্ত্রী সব কিছুকে উপেক্ষা করে এই সেতুর কাজ পূর্ণাঙ্গরুপে বাস্তবায়ন করেছেন।’ সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে একই সারিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও জাতীয় সংসদের যশোরের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। 

তাদের দুই সারি পেছনে ছিলেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও বাগেরহাটের সাবেক ফুটবলার জাকির হোসেন চৌধুরী। এমন একটি অনুষ্টানে উপস্থিত থাকতে পেরে বেশ গর্বিত তিনি, ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি গর্ব। সারা বিশ্বে এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেই সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্টানে থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।’ বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহীও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। 

আজকের অনুষ্ঠানে ক্রীড়াঙ্গনের আরো অনেকে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে অনেকে সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন আবার অনেকে শেষ পর্যন্ত যেতে পারেননি। তবে যারা উপস্থিত থাকতে পেরেছেন সবাই এক ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছেন। 

এজেড/এইচএমএ