বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে গোপালগঞ্জ ভেন্যু অনেক দিন থেকেই। ঢাকা থেকে এই ভেন্যুতে খেলতে দলগুলোকে ছয়-সাত ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হতো। আজ মঙ্গলবার রহমতগঞ্জ ও উত্তর বারিধারা দুই দলই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গোপালগঞ্জ গিয়েছে। আড়াই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে দুই দল ভেন্যুতে পৌঁছেছে। 

পদ্মা সেতু পার হয়ে খেলা ম্যাচে অবশ্য জিতেনি কেউ। দুই দলই একটি করে গোল করেছে। দু’টি গোলই হয়েছে ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে। রহমতগঞ্জের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা ৮০ মিনিটে গোল করেন। ইনজুরি সময়ে বারিধারা ইউসুফ গোল করে দলকে হার থেকে বাঁচান। 

অন্যদিকে মুন্সিগঞ্জ ভেন্যুতে ঘটেছে অঘটন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাইফ স্পোর্টিং ১-২ গোলে হেরেছে রেলিগেশন জোনে থাকা স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে। স্বাধীনতার জয়ে রেলিগেশন জোন জমে উঠেছে। ১৭ ম্যাচে স্বাধীনতা ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে রহমতগঞ্জ ও মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার উপরে। মুক্তিযোদ্ধার অবশ্য এক ম্যাচ কম। বারিধারা আজ ড্র করায় ১৩ পয়েন্ট নিয়ে রহমতগঞ্জ ও মুক্তিযোদ্ধার উপরে। এই চার দলের মধ্যে দুই দল রেলিগেশনে পড়ার সম্ভাবনা।

আজ মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। ৫৮ মিনিটে আসরর গফুরবের বক্সে ফেলা ক্রস থেকে পোস্টে হেড নেন মিরাজ হোসেন। স্বাধীনতার গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান পাঞ্চ করলে বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এমেকা ওগবাগ (১-০)। 

লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সাইফ। ৬৭ মিনিটে স্বাধীনতাকে সমতায় ফেরান জিল্লুর রহমান (১-১)। জাহেদুল আলমের পাস থেকে গোল করেন জিল্লুর। সাইফের খেলোয়াড়রা অফসাইড ভেবে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিল। এরপর ম্যাচের ৮৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন স্বাধীনতার সার্বিয়ান খেলোয়াড় ইভান মারিক। সাইফের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফির হাতে বল লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ইভান মারিক (২-১)। দুই হলুদ কার্ডের শাস্তিতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সাইফের অধিনায়ক রাফি।

এজেড/এটি