তার অর্জনের ঝুলিটা যদি দেখা হয়, তাহলে খুব বড় কিছু নেই সেখানে। না বিশ্বকাপ, না ইউরোপিয়ান কাপ, না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, কিছুই জিততে পারেননি তিনি। এরপরও জার্মান ফুটবলে উয়ে সিলার পান রাজার সম্মান, দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে যে ধরা হয় তাকে! সে উয়ে সিলার পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। সারা জীবন খেলেছেন যে ক্লাবে, সেই হামবুর্গই নিশ্চিত করেছে, না ফেরার দেশে চলে গেছেন জার্মান এই কিংবদন্তি।

সারাটা জীবন হামবুর্গের হয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। ১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় খেলেছেন ৫৮০ ম্যাচে, করেছেন ৪৯০ গোল। সাবেক পশ্চিম জার্মানির হয়ে তিনি খেলেছিলেন ৭২ ম্যাচ, করেছিলেন ৪৩ গোল। জিতেছেন একটি করে জার্মান লিগ আর জার্মান কাপ শিরোপা।

তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার প্রাপ্তির চেয়ে স্বপ্নভঙ্গই বেশি হয়েছে। জার্মানিকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেবার ইংল্যান্ডের কাছে ৪-২ গোলে হেরে ফিরতে হয়েছিল তাদের। এর আগে ১৯৬১ ইউরোপিয়ান কাপের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার কাছে, ১৯৬৮ কাপ উইনার্স কাপের ফাইনালে মিলানের কাছে হারে তার দল।

জার্মান কিংবদন্তি এই অধিনায়কের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে হার্মবুগ টুইট করে জানায়,, ‘আমরা উয়ে সিলারের মৃত্যুতে বেশ শোকাহত। ৮৫ বছর বয়সে মারা গেলেন হামবুর্গের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়টি। প্রিয় উয়ে, আপনি শান্তিতে ঘুমান।’ 

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বায়ার্ন মিউনিখের প্রধান কার্যনির্বাহী অলিভার কান বলেন, ‘জার্মান ফুটবল তো বটেই, ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে ভাবলে উয়ে সিলারের নাম আসবেই।’ এদিকে উয়েফা তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে জানায়, দেশের হয়ে ৭০ এরও বেশি ম্যাচ খেলা এই কিংবদন্তি জার্মান ফুটবলের আধুনিকীকরণে বড় অবদান রেখেছিলেন।

এনইউ