বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সকালে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে এসেছিলেন প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্ব উদ্বোধন করতে। ঘরোয়া ফুটবলের আলোচিত বিষয় এখন ফিক্সিং। প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে আসলেও ফিক্সিং ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করতে হয়েছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে। 

এএফসি আরামবাগ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের পাঁচটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বিশেষত ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আরামবাগ ও ব্রাদার্সকে ঘিরে। বাফুফে সভাপতি কোনো ম্যাচ বা দল নিয়ে মন্তব্য না করে সামগ্রিক ভাবে বলেছেন, ‘ফিক্সিং, বর্ণবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে বাফুফের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে বহিষ্কার হবে।’

কমলাপুর স্টেডিয়ামে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি চলবে তিনদিন। এই তরুণ ফুটবলারদের সম্পর্কে বাফুফে সভাপতির বক্তব্য, ‘আমরা এই রকম কর্মকান্ড চালিয়ে যাব। এভাবে কর্মসূচি চালিয়ে গেলে চার পাঁচ বছর পর অনেক ভালো মেধাবী ফুটবলার পাওয়া যাবে।’

এই প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি আরও বলেন, ‘অনেক ফুটবলারেরই মেধা রয়েছে। সেটা বিকশিত করতে প্রয়োজন নির্দেশনা, অনুশীলনসহ আরও অনেক বিষয়। এর পাশাপাশি দরকার তাদের ধৈর্য্য। তরুণ ফুটবলাররা যদি ধৈর্য্য ধরে ফুটবলের সাথে থাকতে পারে বাফুফেও তাদের ধরে রাখবে।’ 

বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক বলেন, ‘আমরা কোনো মেধাবী ফুটবলারকে হারিয়ে যেতে দেব না। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

সাফ, এএফসি’র অ-১৫ ও অ-১৬ প্রতিযোগিতার জন্য বাফুফে অ-১৫ পর্যায়ে দেশব্যাপী ট্রায়াল করছে। এখন কমলাপুর স্টেডিয়ামে চলছে চূড়ান্ত ট্রায়াল।
 
এজেড/এমএইচ/এটি