বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। নিজেদের এই সিদ্ধান্ত দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফেকে জানিয়েও দিয়েছে। 

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এবারের লিগে নিজেদের সেরা সাফল্য পেয়েছে। এবারই সর্বোচ্চ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। লিগ শেষ হওয়ার এক দিন পরেই সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের এই অবস্থান অবাক করেছে ফুটবলের পাশাপাশি পুরো ক্রীড়াঙ্গনকেই। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবটি মূলত পরিচালিত হয় সাইফ পাওয়ারটেকের গ্রুপের অর্থায়নে। 

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশে রেফারিং দেখে বিস্মিত ক্রুসিয়ানি

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে আমি সেভাবে সম্পৃক্ত না। সাইফ পাওয়ারের বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের সভায় ফুটবলে না থাকার সিদ্ধান্তটা হয়েছে।’

ফুটবল থেকে সরে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘যে পরিমাণ ব্যয় এর বিপরীতে রিটার্ন সেভাবে আসছে না। জাতীয় ফুটবলে সেভাবে প্রভাব পড়ছে না। এর পাশাপাশি গ্রুপের ব্যবসা বাণিজ্যিক কাজে ব্যস্ততাও অনেক। দল পরিচালনায় অনেক সময় প্রয়োজন। সময় দেয়াও কঠিন হয়ে যাচ্ছে গ্রুপের পক্ষ থেকে।’

আরও পড়ুন>> শাস্তির মুখে অস্কার-ক্রুসিয়ানি

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম কর্পোরেট দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এখানে অধিনায়কত্ব করেছেন কয়েক বছর। পাশাপাশি জাতীয় দলে তাদের একাধিক ফুটবলার রয়েছে।

ক্লাবটি ক্লাব মাস দু’য়েক আগে যুব দলের ট্রেনিং করিয়েছিল। সেই সকল কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যাবে, ‘গ্রুপের সিদ্ধান্ত ফুটবল সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক বিরতিতে থাকা। ভবিষ্যতে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে হয়তো আবার ফুটবলে আসা হতে পারে।’ 

আরও পড়ুন>> ক্রুসিয়ানি ফিরে যাচ্ছেন

সাইফ স্পোর্টিং গত কয়েক বছরে ক্রীড়াঙ্গনে বেশ সুনাম অর্জন করেছিল। ফুটবলের পাশাপাশি দাবা দলও রয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক ক্রীড়াঙ্গনে অনেক পৃষ্ঠপোষকতাও করে থাকে। সেগুলো অব্যাহত থাকার কথা জানান তিনি, ‘দাবা দল থাকবে। এছাড়া অন্যান্য সবই চলবে। শুধু ফুটবলের কার্যক্রমটা স্থগিত।’

এজেড/এটি/এনইউ