১৬ বছরের একটা ‘রীতি’র ব্যত্যয় ঘটেছে। প্রায় দেড় যুগ ধরে যে নামটি ব্যালন ডি’অরের তালিকায় নিয়মিত ছিল, এবারের ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অনেক খুঁজেও সেই লিওনেল মেসির নাম পাওয়া যায়নি। পিএসজিতে মেসির প্রথম মৌসুম ঠিক ‘মেসিসুলভ’ যায়নি, সেটা সবার জানা। তাই বলে ৩০ জনের বড়সড় এই তালিকাতেও তার নাম থাকবে না, এমনটা কল্পনাতীত ছিল তার ভক্তদের। তালিকা প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমে মেসি-ভক্তরা তাদের বিস্ময় এবং ক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের আয়োজক ফ্রান্স ফুটবল অবশ্য সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণার পরপরই এর ব্যাখ্যা দিয়েছিল। বরাবরের মতো এবারও তালিকা প্রণয়নের সময় মেসির নাম আলোচনায় ছিল জানিয়ে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের সাংবাদিক এমানুয়েল বোয়ান ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপের  সঙ্গে আলাপচারিতায় বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে মেসি টানা ১৫ বার তালিকায় স্থান পেয়েছেন, এর মধ্যে সাতবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন, এ ছাড়া আরও অনেক শিরোপা জিতেছেন যে নিশ্চিতভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তার নামটা চলে আসে। এই সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতের সময়ও মেসি আলোচনায় ছিলেন।’

আরও পড়ুন >> ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের তালিকায় নেই মেসি-নেইমার

তবে শেষ পর্যন্ত মেসির নাম তালিকায় যুক্ত হলো না সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন এই সাংবাদিক, ‘ব্যালন ডি’অরের নতুন যে মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে, তা মেসির পক্ষে যায়নি; খেলোয়াড়ের পুরো ক্যারিয়ার বিবেচনার বিষয়টি উঠে গেছে, নতুন মডেলে পুরো বছরও এক ধর্তব্য নয়, শুধু একটা মৌসুম বিবেচনা করা হয়েছে, এই কারণে ২০২১ সালের ১১ জুলাই কোপা আমেরিকা জয়ও বিবেচনায় ছিল না।’

আগে পূর্ণ এক পঞ্জিকাবর্ষে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে দেওয়া হত ব্যালন ডি’অর। তবে এবার থেকে বদলে গেছে সেই নিয়ম, এখন পঞ্জিকাবর্ষের বদলে একটি মৌসুম বিবেচনায় নেওয়া হবে।নতুন এই নিয়মের বলি হয়েছে গত বছর মেসির কোপা জয়ের মতো ‘ঐতিহাসিক’ অর্জন। কারণ নতুন নিয়মের কারণে ২০২১-২২ ফুটবল মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়টাকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আর পিএসজির হয়ে গত মৌসুমে লিগে মাত্র ৬ গোল করা মেসির এই পরিসংখ্যানের জোরে ব্যালন ডি’অরের তালিকায় জায়গা পাওয়া ছিল ‘অসম্ভব’, আদতে হয়েছেও তাই।

আরও পড়ুন >> মেসিকে ফেরাতে আলোচনা শুরু করল বার্সেলোনা

আগামী ১৭ অক্টোবর প্যারিসে জাঁকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম।

এইচএমএ/এটি