লিওনেল মেসি, বিশ্ব ফুটবলের একজন ধ্রুবতারা। দীর্ঘ সময়ে ধরে ফুটবলপ্রেমীদের তার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করে চলেছেন তিনি, অর্জন করেছেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের খেতাব। অসংখ্য রেকর্ডের বরপুত্র মেসি ক্লাবের হয়ে সাফল্যের মালা গেঁথেছেন আগেই, দেশের হয়ে কিছু জেতার ইচ্ছেপূরণের অপেক্ষা ছিল।

গত বছর কোপা আমেরিকা এবং এই বছরের ফিনালিসিমা জয়ে ২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনার মানুষকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন। জীবন্ত কিংবদন্তি এই ফুটবলারের প্রতি নিজের আবেগ বর্ণনা করতে গিয়ে সম্প্রতি কোপা আমেরিকা জয়ী সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার পিপো জরোসিত তো তাকে বিয়েই করতে চাইলেন!

ইএসপিএনের এক অনুষ্ঠানে আলাপচারিতায় মেসিকে প্রশংসায় ভাসান ১৯৯৩ কোপা আমেরিকাজয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য পিপো। স্পোর্টস সেন্টার নামের সেই অনুষ্ঠানে পিপো বলেন, ‘সে (মেসি) ফুটবলে আমার একমাত্র আদর্শ। তাকে আমার প্রচণ্ড ভালো লাগে। আমার জন্য সে হচ্ছে আদর্শ জামাতা, আদর্শ ছেলে, আদর্শ ভাই, আদর্শ বন্ধু। আমি তাকে যেকোনো সময় বিয়ে করে ফেলতে পারি।’

আরও পড়ুন >> এমবাপেকে কেউ বলে দাও, তার বয়সে মেসির ৪টা ব্যালন ডি’অর ছিল

১৯৯৩ সালের কোপাজয়ী দলের মিডফিল্ডার পিপো এখন আর্জেন্টাইন ক্লাব জিমনাসিয়া লা প্লাতার কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯টি ম্যাচ খেলেছেন ৫৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার।

এবারের ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসির নাম না থাকার পেছনে ‘অন্য’ কিছুর আভাস পাচ্ছেন পিপো, ‘মনোনয়নের ক্ষেত্রে অনেকের স্বার্থ ভূমিকা রাখে। এটা অনেক কঠিন।’

আরও পড়ুন >> বিশ্বকাপে খেল দেখাবেন ‘চাপমুক্ত’ মেসি

পিএসজিতে প্রথম মৌসুমে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন মেসি। লিগে পুরো মৌসুমে বল পায়ে মাত্র ৬ বার করেছিলেন লক্ষ্যভেদ। আর ব্যালন ডি’অরের পরিবর্তিত মানদণ্ডে শুধু মেসির পিএসজির পারফরম্যান্সই বিবেচনায় নেওয়া হয়। গত বছরের কোপা আমেরিকা জয়ের মতো অর্জন থেকে যায় পরিবর্তিত মানদণ্ডের আওতার বাইরে। আর সে কারণেই ১৬ বছর পর সবচেয়ে বেশি ব্যালনজয়ীর নাম বাদ পড়ে এই পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে।

এইচএমএ/এটি