মৌসুম শুরু আগেই কথা দিয়েছিলেন নেইমার। ক্লাব এবং সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক যখন তলানিতে গিয়ে ঠেকে, একসময়ের বিশ্বরেকর্ড সাইনিংকে যখন তাড়িয়ে দিতে মরিয়া প্যারিসের কর্তারা, ঠিক সে সময়ই নেইমার বলেছিলেন, ‘এই মৌসুমে আমার সব শট, ফ্রি-কিক, হেডার জাল কাঁপাবে, আমি ভালো অনুভব করছি। আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি ছুটির সময় অনেক অনুশীলন করেছি।’

কথা রেখেছেন নেইমার। প্রাক-মৌসুম থেকেই পায়ের জাদু দেখানো শুরু করেছিলেন। সেই যে জাপানে প্রাক-মৌসুম সফরের শেষ ম্যাচে জোড়া গোল দিয়ে শুরু, এরপর গোল আর অ্যাসিস্টের পসরা সাজিয়ে শুরু করেছেন নতুন মৌসুম। ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচে ১৩টি গোলে অবদান রেখেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমার একজোট, পিএসজিতে কোণঠাসা এমবাপে

নতুন কোচের অধীনে পুরনো জৌলুস ফিরে পেয়েছেন নেইমার। চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৭ গোল করেছেন, আর করিয়েছেন ৬টি। লিগ আঁ’তে সবশেষ ম্যাচে জোড়া গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন নেইমার। লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে পিএসজির আক্রমণভাগে তার রসায়নও একেবারে জমে ক্ষীর।

এখানেই শেষ নয়, নেইমার নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে মেসি আর এমবাপেদেরও পেছনে ফেলে দিয়েছেন। চলতি মৌসুমে মেসি এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ৪ টি, করিয়েছেন ৩ টি। ওদিকে এমবাপে ৪ গোল করলেও করাতে পারেননি একটিও। 

আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমারদের ওপর আরও এক কঠিন নিয়ম চাপিয়ে দিলো পিএসজি

এমন পারফর্ম্যান্সের আভাস পেয়েই হয়তো, পিএসজির নতুন কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের দায়িত্ব নিয়েই নেইমারকে ‘বিশ্বমানের খেলোয়াড়’ হিসেবে অভিহিত করেন। তাকে যেকোনো কোচই দলে পেতে চাইবে বলে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলবদলের গুঞ্জনের মধ্যেও দলে রেখে দেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান।

নতুন মৌসুমে কোচের সেই আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিচ্ছেন নেইমার। ৩ ম্যাচ থেকে ৫ গোল নিয়ে এখন লিগ আঁ’র সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে তিনি। পিএসজিতে আসার পর প্রথম মৌসুমে ৩০ ম্যাচে ২৮ গোল করেছিলেন নেইমার। এরপর থেকে চোটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রতি মৌসুমেই ধুঁকছিলেন তিনি। অবশেষে পিএসজির জার্সিতে আবারও সেই পুরনো ফর্মের ইঙ্গিত দিচ্ছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মেসি এবং এমবাপের সঙ্গে নেইমারও নিয়মিত জ্বলে উঠলে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখতেই পারে পিএসজি।

এইচএমএ/এনইউ/এটি