২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের স্বাগতিক নির্বাচিত হয় কাতার। এরপর থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। স্বাগতিক নির্বাচনে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে। 

তবে সেসব ছাপিয়ে এখন ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষদিকে কাতার। কিন্তু সম্প্রতি আবারও কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে কাতারে স্টেডিয়াম বানাতে গিয়ে গত দশ বছরে প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটেছে।

এসব বিষয় সামনে আসার পর এবার এসেছে কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক। যার শুরুটা করেছে নরওয়ের ক্লাব ট্রমস আইএল। তারা তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘এখন কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।’

ট্রমাস আইএল নরওয়েজিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ২০২২ বিশ্বকাপ বয়কটকে করতে উত্সাহিত করবে। যদি নরওয়ে আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তবে তাদের উচিত কাতারে যাওয়ার কথা না বলা, এমন প্রচার চালাচ্ছে ক্লাবটি।

ট্রমাস আইএল লিখেছে,  ‘আমাদের ফুটবলের ধারণা কী এবং কেন এত বেশি লোক আমাদের খেলা পছন্দ করে তা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত। দুর্নীতি, আধুনিক দাসত্ব এবং এক বিশাল সংখ্যক মৃত শ্রমিক আমাদের বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির ভিত্তি, এই বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং, আমরা আর বসে বসে ফুটবলের নামে মানুষ মারা যেতে দিতে পারি না। এটি এখন কঠোর লড়াইয়ের সময়।’

বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ব পাওয়ার পর ২০১০ সালের ডিসেম্বরের যে রাতে কাতারের রাস্তায় লোকজনকে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়; সেই রাতের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের অন্তত ১২ জন করে প্রবাসী শ্রমিকের প্রাণ গেছে বলে গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। কাতারে দশ বছরে প্রাণ গেছে ১০১৮ বাংলাদেশিরও।

এমএইচ