গেল মৌসুম শুরুর পর থেকে ২৮ বার বারপোস্ট কাঁপিয়েছে পিএসজি খেলোয়াড়দের করা শটগুলো। নিকটতম দলটি পিছিয়ে আছে ১২বারের ব্যবধানে। পিএসজি নিজেদের বার কাঁপানোর সেই তালিকায় আরও তিনটি শট যোগ করেছে গতকাল। লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপেরা যখন বারপোস্ট কাঁপালেন, তখন দল পিছিয়ে আছে এক গোলে।

মেসি-এমবাপেদের এমন দুর্ভাগ্যের রাতে হারের শঙ্কাই একটা সময় ভর করে বসেছিল পিএসজি শিবিরে। সে শঙ্কা অবশেষে দূর করেন নেইমার। তার গোলেই কোনোক্রমে হারের হাত থেকে রক্ষা মেলে লিগ আঁ শিরোপাধারীদের। মোনাকোর বিপক্ষে ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্যারিসিয়ানরা।

আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমারের বিধ্বংসী পিএসজির সামনে পড়ছে বার্সা!

সফরকারী মোনাকোর মৌসুমটা শুরু হয়নি ভালোভাবে। একটি করে জয়, ড্র আর হার নিয়ে দলটা খাবি খাচ্ছিল লিগের মাঝামাঝিতে। সেই সময়ে দলটা মুখোমুখি হয় পিএসজির, যারা কি না লিগের শুরুর তিন ম্যাচে করেছে ১৭ গোল! পিএসজির জয়টা তাই প্রত্যাশিত ছিল বৈকি!

তবে তা আর হবে কোথায়, পিএসজিকে যে শুরু থেকেই চেপে ধরেছিল মোনাকো! ১৯ মিনিটে সেই চেপে ধরার ফসলটা পায় কেভিন ভলান্ডের গোলে। পিএসজি নিজেদের মাঠে পড়ে যায় হারের শঙ্কায়।

আরও পড়ুন>> মেসিকে ‘হ্যালো’ বলাটাও উপভোগ করেন পিএসজি কোচ

পিছিয়ে পড়ে মেসি-নেইমার-এমবাপেরা ম্যাচে ফেরার দারুণ চেষ্টাই করেছেন। তবে তার সবকটা এক এক করে রুখে দিতে থাকে মোনাকো। এমন সময় ভাগ্যও যেন মুখ ফিরিয়ে নেয় প্যারিসিয়ানদের ওপর থেকে। নাহয় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এক আক্রমণে দুইবার কী করে বারপোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায় দলটির? মেসির বক্সের বাইরে থেকে করা শটটা লাগে বাম পাশের বারে, ফিরতি চেষ্টায় কিলিয়ান এমবাপের শট ডান পাশের বারপোস্ট কাঁপিয়ে ফেরে। 

এদিন মোনাকো গোলরক্ষক অ্যালেক্স নুবেলও যেন ছিলেন ক্যারিয়ার-সেরা ছন্দে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপের চেষ্টা ঠেকিয়ে দেন বুক দিয়ে। একটু পরে নেইমারের শটও তিনি ঠেকান দারুণ নৈপুণ্যে। ফলে পিএসজির দুশ্চিন্তাটা কেবল বেড়েই চলেছিল।

আরও পড়ুন>> মেসি-নেইমারদের ওপর আরও এক কঠিন নিয়ম চাপিয়ে দিলো পিএসজি

সে দুশ্চিন্তাটা একটু দূর হয় ৭০ মিনিটে নেইমারের পেনাল্টিতে। সেই গোল সমতায় ফেরায় পিএসজিকে। এরপর ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা জয়সূচক গোলের চেষ্টা করে গেছে বেশ। তবে তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের প্রথম ড্রয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে মেসিকে তুলে নেন মাঠ থেকে। ৮৭ মিনিটে তাকে তুলে পাবলো সারাবিয়াকে আনেন, তবে তাতে দলের ড্র ঠেকানো যায়নি। ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ করে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।

এনইউ