দুই বছর পর যশোর জেলা ফুটবল লিগ মাঠে গড়ানোর পরই আলোচনায় ৷ যশোর মোহামেডানের হয়ে খেলছেন বাফুফের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আরামবাগের ফুটবলার মোঃ জাহিদ হোসেন। চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিষিদ্ধ ফুটবলারদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 

যশোর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মঈন স্মৃতি ক্লাবের পক্ষ থেকে ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ খেলোয়াড় লিগে খেলছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর পরই আমরা লিগ কমিটির জরুরি সভা করেছি। সেই সভায় অভিযুক্ত যশোর মোহামেডানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে সেই উত্তর পাওয়ার কথা। উত্তর পাওয়া মাত্রই আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ সহকারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে পাঠাব। বাফুফের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’ 

ফিফা ও বাফুফের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ফুটবলাররা বাফুফের কোনো প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। যশোর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন বাফুফের অধিভুক্ত সংস্থা। ফলে এই জেলা লিগেও সেই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন। বাফুফের কম্পিটিশন বিভাগের নজরেও নিষিদ্ধ খেলোয়াড় খেলার বিষয়টি পড়েছে। তারাও পৃথকভাবে এ নিয়ে কাজ করছে৷ যশোর মোহামেডানের পরবর্তী ম্যাচের আগেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসার কথা। 

গত বছর ম্যাচ-স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরামবাগ ক্লাব ও সেই ক্লাবের কয়েকজন ফুটবলারকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেয় বাফুফে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা বাফুফের সেই শাস্তি বহাল রাখে। বাফুফে ও ফিফার শাস্তি মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার আগেই জেলা ফুটবল লিগে খেলোয়াড় খেলার ঘটনায় ফুটবলাঙ্গনে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। 

এজেড/এটি