সাবেক জাতীয় অধিনায়ক জুয়েল রানা এখন আমেরিকা প্রবাসী। তার আবাসস্থল ভার্জিনিয়া থেকে কাঠমান্ডুতে সাবিনাদের ম্যাচের সময় পার্থক্য ৮ ঘন্টার বেশি। সময়ের পার্থক্য অনেক হলেও অনলাইনে আজ সোমবারের নারী সাফের ফাইনাল দেখতে চান সাবেক অধিনায়ক জুয়েল রানা। 

এই কাঠমান্ডুতেই ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বাংলাদেশের প্রথম ট্রফি জিতেছিল। কাঠমান্ডু সাফ গেমসে বাংলাদেশ ফুটবলে স্বর্ণ জিতেছিল। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন জুয়েল রানা। ২৩ বছর পর আবার সেই কাঠমান্ডুর দশরথেই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার মঞ্চ। এবার সেই মঞ্চে থাকবেন সাবিনা-কৃষ্ণারা।

সুদূর আমেরিকা থেকে জুয়েল রানা নিজেদের সাথে সাবিনাদের কিছুটা মিল খুঁজে পেলেন, ‘আমরাও ফাইনাল খেলেছিলাম নেপালের সঙ্গে ওরাও খেলবে নেপালের সঙ্গে।’ স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল খেলার চাপটা থাকবে সমর্থকের সেটা অকপটে বললেন, ‘এখন ঘরোয়া ফুটবলে দর্শক নেই। আমাদের সময় ছিল। তাই নেপালের সমর্থকের চাপটা তেমন লাগে নেই। এরপরও ফাইনালে স্নায়ুচাপ থাকে। আমাদের মেয়েদের জন্য বাড়তি চাপ হবে নেপালের দর্শক।’ 

সেই চাপটা স্বাগতিক নেপালকে উল্টো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আলফাজ আহমেদ। তার দেয়া গোলে বাংলাদেশ লিড নেয় এবং নেপালে চাপে পড়ে। সেই টুর্নামেন্টের স্মৃতি এভাবে স্মরণ করলেন ভার্জিনিয়া থেকে, ‘ওই টুর্নামেন্ট আমরা মোট চার গোল করেছিলাম। এর মধ্যে দুটো আমার। একটি টিপুর ও আরেকটি আলফাজের। আসল কাজটি আলফাজই করেছে। ওর গোলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আলফাজের গোলের পর বিপ্লব ভালো সেভ করেছে।’ 

নেপালি সমর্থকের চাপ থাকলেও পারফরম্যান্সে সাবিনারাই ফেভারিট সাবেক অধিনায়কের চোখে, ‘কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমি বিগত ম্যাচগুলোর কিছু অংশ দেখেছি। বাংলাদেশকেই টুর্নামেন্টের সেরা দল মনে হয়েছে। টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স অনুযায়ী বাংলাদেশেরই চ্যাম্পিয়নশিপ প্রাপ্য।’

সাবিনদের শুভকামনা জানিয়েছেন কাঠমান্ডু সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী অধিনায়ক, ‘আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে নারী দলের প্রতি শুভকামনা। নারী ফুটবলাররা অনেক কষ্ট, পরিশ্রম করছে তাদের একটি শিরোপা প্রাপ্য।’ সাবিনারা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে উঠায় জুয়েল তৃপ্ত হলেও আরো বেশি খুশি হতেন জামালরা সাফের ফাইনাল খেললে। 

এজেড/এটি