বিরতির পর গোল হজম। তাতে স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কা ভর করে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে কৃষ্ণা রানী সরকারের দ্বিতীয় গোলে সে শঙ্কা কিছুটা হলেও কমেছে বাংলাদেশের। শেষ বাঁশির কিছু আগে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ৩-১ গোলে।

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল, যারা এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের সমর্থকই তাই বেশি। বাংলাদেশ নারী দলের কাজটা বেশ কঠিন হবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। তবে বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্সে এর ছাপ পড়ল কমই। বরং পুরো টুর্নামেন্টে যেমন ছন্দে ছিলেন, তেমন ছন্দ ধরে রেখে শুরু থেকে স্বাগতিক নেপালের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন সাবিনা, মারিয়ারা।

এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। লিড এনে দেন বদলি ফুটবলার শামসুন্নাহার (জুনিয়র)। মনিকা চাকমার ডান প্রান্ত থেকে করা ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়ে দারুণভাবে জালে পাঠান শামসুন্নাহার। কোনাকুনি প্লেসিংয়ে তিনি গোল করেন।

এক গোলে পিছিয়ে পড়ে পুরো দশরথ স্টেডিয়াম স্তব্ধ হয়ে পড়ে। উজ্জীবিত নেপালি সমর্থকরা কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে যান। নেপাল ম্যাচে ফেরার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে ৩০-৪০ মিনিটে তারা বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ করে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপা চাকমা দুটি দারুণ সেভ করেছেন।

তবে বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে আরেকবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে বাড়ানো এক থ্রু পান কৃষ্ণা রাণী সরকার। বক্সের এক প্রান্তে আনমার্কড থাকা কৃষ্ণা আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান। বাংলাদেশের ডাগআউট আবার উৎসবে মাতে।

বিরতির পরই গোল হজম করে বাংলাদেশ। তাতে স্বপ্নভঙ্গের শঙ্কা এসে ভর করে বাংলাদেশ দলে। তবে সেই শঙ্কা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেন কৃষ্ণা রাণী। সরকার।