বাংলাদেশের ফুটবল তো বটেই, ক্রীড়াঙ্গনই একটি বিশেষ দিন পার করেছে গতকাল। সাফজয়ী সাবিনা খাতুনদের এক নজর দেখার জন্য রাস্তায় মানুষ অপেক্ষায় ছিল সন্ধ্যা পর্যন্ত। 

সাধারণত বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে আসতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না। আজ সাবিনাদের আসতে চার ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। ছাদ খোলা বাসে এত সময় লাগলেও বিষয়টি দারুণ উপভোগ করেছেন জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক, ‘সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। মানুষ আমাদের এত ভালোবাসে। আমরা আসলেই খুবই খুশি।’ 

সাবিনা বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকেও, ‘সানজিদার একটি স্ট্যাটাস মন্ত্রী মহোদয়ের নজরে এসেছে। এরপরই তিনি আমাদের আশা পূরণের চেষ্টা করেছেন। এজন্য তাকেও ধন্যবাদ।’ 

সাবিনাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সাবেক ফুটবলার। তিনি যখন খেলেছেন তখন বাংলাদেশের ফুটবলে জোয়ার ছিল। কোচিংয়ের সময় দেখেছেন মানুষ ফুটবলের দিকে তেমন আগের সেই টান নেই। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ হয়ে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় তিনি অভিভূত। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখনো ফুটবল ভালোবাসে, ফুটবল জীবিত রয়েছে। আজ সেটাই তারা প্রমাণ করেছে।’ 

বিমানবন্দর, রাস্তা ও বাফুফে ভবন তিন জায়গাতেই অজস্র মানুষ। এত মানুষ হওয়ার পেছনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘প্রথম কারণ মেয়েদের সাফল্য এবং দ্বিতীয় কারণ মিডিয়া বিষয়টি ইতিবাচকভাবে প্রচার করেছে।’ নারী ফুটবলে পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে তিনি সাফের গন্ডি পেরিয়ে আসিয়ান অঞ্চলে যেতে চান। 

বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেও ছিল সাংবাদিকদের উপচে পড়া ভিড়। এখানে শৃঙ্খলা বিধান করতেই আধ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে অধিনায়ক সাবিনা ও কোচ ছোটন প্রথম সারিতেই ছিলেন। সম্মেলনের পরের অংশে ক্রীড়া মন্ত্রী ও সচিব উপস্থিত হওয়ায় তারা পেছনের সারিতে দাঁড়ান। চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক ও কোচ পেছনের সারিতে দাঁড়ানোর ছবি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবশ্য এটি পুরনো ও চলমান সংস্কৃতি।

এজেড/এনইউ