হামজা চৌধুরি/স্কাই স্পোর্টস

হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাওয়ার ইচ্ছাটা দিনকয়েক আগে খোলামেলাভাবেই প্রকাশ করেছেন। এরপর থেকে এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এবার এই আলোচনায় যোগ দিলেন তার বর্তমান ক্লাব ওয়াটফোর্ডের কোচ রব এডওয়ার্ডস। জানালেন, হামজা যদি শেষমেশ বাংলাদেশ দলে যোগই দেন, তাহলে কাজটা দারুণ করবেন তিনি, যা দিনশেষে বাংলাদেশ দলকেই বদলে দেবে আমূলে। 

দিনদশেক আগে আনওয়ার উদ্দিন এমবিইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামজা জানান,  বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ভাবেন তিনি। এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ভাবি, অবশ্যই এই ভাবনা আছে আমার।’

‘আমি দেখতে চাই আগামী বছর দুয়েকে আমি কেমন পারফর্ম করি, তবে আমি বাংলাদেশে গিয়ে তাদের হয়ে খেলতে পারলে গর্বিত ও অনেক বেশি সম্মানিত বোধ করব।’

সেই সিদ্ধান্তটা যদি শেষমেশ তিনি নিয়েই ফেলেন, তাহলে সেটা দারুণই হবে, অভিমত ওয়াটফোর্ড কোচ রব এডওয়ার্ডসের। সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সে যদি এটা করতে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কাজটা অসাধারণ হবে। বাংলাদেশি বাচ্চাদের জন্য সে হবে রোলমডেল, যাকে দেখে তারা মনে করতে পারবে, হ্যাঁ, আমি এটা করতে পারব।’

বাংলাদেশে যোগ দিলে হামজা আরও অনেক মানুষকে ফুটবলে আনতে পারবেন বলে বিশ্বাস ওয়াটফোর্ড কোচের। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা সেই আলোকবর্তিকা হতে পারবে, যাকে দেখে লোকজন খেলাটার দিকে ঝুঁকতে পারবে। যদি সে এটা করে, তাহলে এটা অনেক মানুষের জন্য ইতিবাচকই হবে।’

প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে এক মৌসুমের ধারে বর্তমানে চ্যাম্পিয়নশিপের দল ওয়াটফোর্ডে খেলছেন তিনি। হামজাকে তাই চলতি মৌসুমের শুরুতেই দলে পেয়েছেন এডওয়ার্ডস। যে সময় তাকে দেখেছেন কাছ থেকে, তাতেই তিনি রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছেন। 

ওয়াটফোর্ড কোচের কথা, ‘তার সঙ্গে কাজ করাটা দারুণ আনন্দের। সে এমন এক খেলোয়াড় যে তার সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দেয় অনুশীলনে। সে বেশ ইতিবাচক, আর সেটা তার পারফর্ম্যান্সে দেখলেই আপনি বুঝে যাবেন। তাকে নিয়ে যত প্রশংসা করি, কমই থেকে যাবে।’

হামজার সেরা ফুটবলটা এখনো সামনে পড়ে আছে, বিশ্বাস এওয়ার্ডসের। তিনি বলেন, ‘তার সেরাটা আসার এখনো বাকি, এ নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। সে দারুণ এক তরুণ খেলোয়াড়, মানুষ হিসেবেও সে অসাধারণ।’

ওয়াটফোর্ড কোচের বিশ্বাস যদি বাস্তবেই দেখা যায়, আর হামজা যদি বাংলাদেশকেই বেছে নেন শেষমেশ, তাহলে যে দেশের ফুটবলে তা নতুন দিনের সূচনাই করবে, তা বলাই বাহুল্য!

এনইউ