ঘরোয়া ফুটবলে গত বছর সব সময় আলোচনায় ছিল রেফারিং। কখনো রেফারির সিদ্ধান্ত আবার কখনো রেফারিদের পারিশ্রমিক নিয়ে আন্দোলন। আগামী মৌসুমে ফিফা রেফারির তালিকা পাঠানোর শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। সেই তালিকায় দুই জন রেফারি ও একজন সহকারি রেফারি কোটা পূরণ হয়নি। 

বাংলাদেশে পাঁচ জন রেফারি ও সাত সহকারি রেফারির কোটা রয়েছে। এই কোটা পূরণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট রেফারিকে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। দুই দফা ফিটনেস টেস্ট নিয়েও রেফারিদের ফিফা কোটা পূরণ হয়নি। 

বাফুফের রেফারিজ কমিটি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল একবারই ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হবে। প্রথম টেস্টে রেফারি মাত্র একজন ও সহকারী তিন জন পাশ করেছিল। এজন্য ফের টেস্ট নেওয়া হয়। পূনরায় টেস্ট নেয়া হলেও কোটা পূরণ হয়নি। বিগত সময় কোটা পূরণের জন্য অনুত্তীর্ণদের নামও পাঠানো হয়েছে। তবে এখন শুধু উত্তীর্ণদেরই নাম ফিফায় পাঠানো হয়।

দুই বার পরীক্ষা হলেও ঘরোয়া ফুটবলে শীর্ষ পাঁচ রেফারি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাননি। রেফারিদের অধিকার ও দাবি দাওয়া নিয়ে সোচ্চার থাকায় তারা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিলেন । এই নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাঁচ রেফারি ফিফা রেফারিকে ফুটবল ফেডারেশন পরীক্ষা দিতে দেয়নি।

পুরুষদের কোটা পূরণ না হলেও নারীদের কোটা পূরণ হয়েছে। জয়া চাকমা ও সালমা আক্তার উভয়ই ফিটনেস টেস্টে পাশ করেছেন। ফলে গতবারের এবারও তারা ফিফা রেফারি ও সহকারি ফিফা রেফারির ব্যাজ পাবেন। 

২০২৩ সালের জন্য ফিফা রেফারি: আলমগীর, নাসির, জসিম আক্তার, জয়া চাকমা (নারী)

সহকারী ফিফা রেফারি : মনির ঢালী, নুরুজ্জামান, সুজয় বড়ুয়া, জুনায়েদ শিশির, রাসেল মাহমুদ জীবন, বিকাশ সরকার, সালমা আক্তার মনি (নারী)

এজেড/এটি