আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডোটা যদি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি কারো করে থাকে, তাহলে সেই দলটা বার্সেলোনা। দুই মূল ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো, জুলস কুন্দে চোটের কারণে চলে গেছেন মাঠের বাইরে। মেম্ফিস ডিপাই, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, হেক্টর বেয়েরিনও ছিটকে গেছেন একই কারণে। এমন দৃশ্য দলের জন্য যেন রীতিমতো অশনিসংকেতই। তার ওপর যখন যোগ হয় অক্টোবরের কঠিন সূচি, তখন সেটা বার্সেলোনাকে না ভাবিয়েই পারে না।

মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত রাতে অক্টোবরের কঠিন সূচিটা পার করা শুরু করেছে বার্সেলোনা। রবার্ট লেভান্ডভস্কির একমাত্র গোলে কষ্টেসৃষ্টে হলেও শুরুর সে বাধাটা পেরিয়ে গেছে কাতালান দলটি। এই জয়ের ফলে লা লিগার শীর্ষেও চলে এসেছে বার্সা।

নিজেদের মাঠে মায়োর্কা বেশ ব্যস্তই রেখেছিল বার্সাকে। হাউমে কস্তার দারুণ এক চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়ে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনের দিনটা শুরু হয়েছিল। এরপর অ্যান্তোনিও সানচেজ, লি ক্যাং ইনের বেশ কিছু চেষ্টা জার্মান এই গোলরক্ষককে ফেরাতে হয়েছে দারুণ দক্ষতায়।

স্টেগেন তার কাজটা করে রেখেছিলেন। লেভান্ডভস্কি সারলেন বাকিটা। ২০ মিনিটে আনসু ফাতির পাস থেকে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় গিয়ে দারুণ এক বাঁকানো শট করে বসেন তিনি, সেটা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গিয়ে জড়ায় জালে। এর ফলে শেষ সাত ম্যাচে এই নিয়ে নবম গোলের দেখা পেয়ে যান তিনি। সেই এক গোলই জয়টা নিশ্চিত করে দিয়েছে বার্সার।

এর ফলে লিগে নিজেদের ষষ্ঠ জয় তুলে নেয় দলটি। সাত ম্যাচে এই ছয় জয়ের বিপরীতে একটি মাত্র ড্র আছে জাভি হার্নান্দেজের দলের। 

এই ম্যাচের আগে বার্সা দিনটা শুরু করেছিল লিগের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে। মায়োর্কাকে হারিয়ে দলটি উঠে এসেছে লা লিগার শীর্ষে। যদিও তা ক্ষণিকের জন্যই। আজ রাতে নিজেদের মাঠে ওসাসুনার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। ৬ ম্যাচের ৬টিতেই জেতা রিয়াল যদি আজও জয় তুলে নিতে পারে, তাহলে বার্সার হাত থেকে শীর্ষস্থান আবারও কেড়ে নেবে দলটি। 

এদিকে বার্সেলোনার পরের সূচিটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। ইন্টার মিলানের মাঠে ম্যাচটা হবে আগামী মঙ্গলবার। দুই দলই দুই ম্যাচের একটিতে হেরেছে, জিতেছে একটিতে। যার ফলে দুই দলের কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ম্যাচটা।

এনইউ