ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আর্লিং হালান্ড আছেন আগুনে ফর্মে। সবশেষ সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে তার দল সিটি, সেই ম্যাচে একটা গোলও করেছেন হালান্ড। তবে পেপ গার্দিওলা জানালেন, শিষ্যের পারফর্ম্যান্স যারপরনাই হতাশই করেছে তাকে।

এতিহাদে সবশেষ তিন প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে তিন গোল করে শুরু, এরপর নটিংহ্যাম ফরেস্টের বিপক্ষেও করেছিলেন হ্যাটট্রিক। সবশেষ হ্যাটট্রিকটা এসেছিল নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। যে হারে তিনি গোল করে চলেছেন, তাতে তাকে অমানুষ ঠাহর করাটাও অসম্ভব কিছু নয়। কিছু মানুষ সেটা আক্ষরিক অর্থে ধরে নিয়ে তাকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে নিষিদ্ধ করার গণভোটের আয়োজনও করে বসেছে।

সেই হালান্ড অবশ্য শেষ ম্যাচে ‘স্বরূপে’ ছিলেন না। গোল করেছেন মোটে একটি। তাতে অবশ্য সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোলসংখ্যা ২০ ছুঁয়ে ফেলেছে ইতোমধ্যেই! সব প্রতিযোগিতায় টানা দশ, আর প্রিমিয়ার লিগে টানা সাত ম্যাচে গোল করার কীর্তিও গড়ে বসেছেন তিনি।

এরপরও অবশ্য কোচ গার্দিওলার মন ভরছে না। তার আক্ষেপ, হ্যাটট্রিক কেন করলেন না হালান্ড! আক্ষেপ অবশ্য হওয়ারই কথা, হালান্ড যে কাল গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন আরও! কেভিন ডি ব্রুইনার একটা ক্রস গোলমুখের খুব কাছে পেয়েছিলেন তিনি, সেটা জালে জড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন, যার ফলে তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এক গোল নিয়েই।

গার্দিওলা ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘আমি তার ওপর খুবই হতাশ। সে কেন তিন গোল করল না!’ তার এই ‘হতাশা’ যে নেহায়েত রসিকতার, সেটাও বোঝা গেল পরের কথাতেই, ‘এই কারণেই তাকে প্রিমিয়ার লিগ থেকে বহিষ্কারের আবেদন করা হচ্ছে।’

এরপর গার্দিওলা হালান্ডের তারিফ করতেও ভোলেননি। বলেন, ‘তাকে নিয়ে প্রত্যাশাটা এত বেশি যে লোকজন চায় সে যেন প্রতি ম্যাচে ৩-৪ টি করে গোল করে। কিন্তু দিনশেষে সে আমাদের হয়ে একটা গোল করেছে, আমাদের সাহায্য করেছে, বল ধরে রেখেছে, লড়াই করেছে। আমার মনে হচ্ছে, আর্লিং আজ ভালোই খেলেছে।’

এনইউ