মারুফের স্থলাভিষিক্ত টিটু

ঘরোয়া ফুটবলে দেশের শীর্ষ কোচদের মধ্যে অন্যতম সাইফুল বারী টিটু। গত মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ ছিলেন টিটু। লিগের প্রথম পর্বের আগেই সেখান থেকে বিদায় হয় তার। এরপর গত মৌসুমে আর কোনো দলের হয়ে কাজ করেননি তিনি। তবে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীর দায়িত্ব নিয়েছেন টিটু। ক্লাবটির সাথে মৌখিক কথাবার্তা চূড়ান্ত। দুয়েকদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে দুই পক্ষের। 

চট্টগ্রাম আবাহনীর ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন কোচ হিসেবে টিটুর যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচের দায়িত্ব নিয়ে দেশের শীর্ষ এ কোচ বলেন, ‘প্রতিটি দলেই একটা চ্যালেঞ্জ  কাজ করে। এখানেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর সেরা ফল এনে দিতে চাই।’ 

গত মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ ছিলেন মারুফুল হক। এবার বেশ বড় অঙ্কের টাকায় তিনি যোগ দিয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডিতে। মারুফের জায়গায় দেশের আরেক শীর্ষ কোচ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করেছে ক্লাবটি। মারুফ গত মৌসুমে সাধারণ মানের দল নিয়েই এক পর্যায়ে শিরোপা ফাইটে ছিলেন। এই বিষয়টি অনেকটা চ্যালেঞ্জের মতো মনে করছেন টিটু, ‘মারুফ ভাই চট্টগ্রাম আবাহনীকে একটা পর্যায়ে রেখেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই আমার উপরও চ্যালেঞ্জ সেটা ধরে রাখা।’ 

গত মৌসুমে লিগে চট্টগ্রাম আবাহনী সপ্তম হয়। মারুফের পর্যায়ে চট্টগ্রাম আবাহনীকে রাখতে হলে টিটুর প্রয়োজন ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড়। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘গত মৌসুমের অনেক খেলোয়াড়ই নেই। কয়েকজন রয়েছেন আবার, তবে নতুনরাও যোগ হয়েছেন। বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আশা করি একটা ভারসাম্য দলই হবে চট্টগ্রাম আবাহনী।’

 কিছু দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম আবাহনীর অনুশীলনে যোগ দেবেন সাইফুল বারী টিটু। তিনি একটি কোচিং কোর্সের মধ্যে রয়েছেন। সেই কোর্স শেষ হলেই মাঠের অনুশীলন শুরু করবেন। এর আগে তার সহকারী জাহাঙ্গীর খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাবেন তার নির্দেশনা অনুযায়ী। 

এজেড/এনইআর/এটি