মাঠের ফুটবলে বিভিন্ন কীর্তির পাশাপাশি মাঠের বাইরের বিভিন্ন মানবিক কাজ দিয়ে প্রায়শই আলোচনায় চলে আসেন বায়ার্ন মিউনিখের সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। সেসব কাজ দিয়ে সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার পুরস্কারটা এবার পেলেন তিনি। ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের রাতে জিতলেন সক্রেটিস পুরস্কার।  

ফ্রান্স ফুটবলের এই অনুষ্ঠানে এবারই প্রথম মাঠের বাইরের কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া হলো। ৩০ বছর বয়সী মানে নিজ গ্রাম বামবালিতে একটি হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছেন, বিভিন্ন স্কুলের খরচ যুগিয়ে অবদান রাখছেন। করোনা মহামারির সময়ও তিনি সেনেগালিজ জাতীয় কমিটিকে টাকা দিয়ে মহামারি দমনে সহায়তা করেছেন।

গত রাতে প্যারিসের তিয়াটর দু শাতলেতে তারই স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, ‘এই সক্রেটিস পুরস্কার নিবেদিত চ্যাম্পিয়নদের সেরা সামাজিক উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়।’ এর আগে কখনো এই পুরস্কার দেওয়া হয়নি। এবারই প্রথম মানবিক পুরস্কার দিল ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। ব্রাজিল কিংবদন্তি ফুটবলার সক্রেটিসের নামে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি ১৯৮০র দশকে করিন্থিয়ান্স গনতন্ত্র আন্দোলনের সহ-উদ্যোক্তা ছিলেন, যা ব্রাজিলের তৎকালীন মিলিটারি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল।

এই পুরস্কারটা মানের হাতে উঠেছে গত রাতে। আফ্রিকার বর্ষসেরা এই ফুটবলার অবশ্য ব্যালন ডি’অরের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন। লিভারপুলের হয়ে শেষ মৌসুমে তিনি করেছিলেন ২৩ গোল। দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে। তার দল সেনেগালকে জিতিয়েছেন আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা।

এই পুরস্কার জিতে মানে বলেন, ‘এখানে অতিথি হিসেবে আসতে পেরে আমি বেশ খুশি। কখনো কখনো আমি বেশ লাজুক থাকি, তবে আমি আমার মানুষদের জন্য কাজ করতে পারলে, পরিস্থিতিতে একটু উন্নতি আনতে অবদান রাখতে পারলেও বেশ খুশি হই।’

এনইউ