চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পঞ্চম ম্যাচদিবসে বার্সেলোনা তাকিয়ে ছিল ভিক্টোরিয়া প্লজেনের দিকে, তারা ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলেই ষষ্ঠ ম্যাচে দলটির শেষ ষোলোর আশা টিকে থাকত। তবে যে দল আগের চার ম্যাচে করেছে দুই গোল, তাদের পক্ষে ইন্টার মিলানকে হারানোর কাজটা যে কার্যত অসম্ভব, সেটা জানাই ছিল। ইন্টার সে অসাধ্যটা ভিক্টোরিয়াকে সাধন করতে দেয়নি। ৪-০ গোলে হারিয়েছে দলটিকে, যার ফলে বার্সা নেমে যায় ইউরোপা লিগে। 

তবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচটাকে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার ম্যাচ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন বার্সেলোনা কোচ জাভি। ইউরোপায় নেমে যাওয়ার শোক থেকেই হয়তো, সেই প্রতিশোধের স্পৃহাটাও দেখা গেল না বার্সার মাঝে। নির্বিষ বার্সাকে তাদেরই মাঠ ন্যু ক্যাম্পে হেসে খেলে ৩-০ গোলে হারিয়ে গেল বায়ার্ন। যাতে করে বার্সার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা লাগল বৈকি!

কোচ জাভি ঘোষণাই দিয়ে রেখেছিলেন, ইন্টার-ভিক্টোরিয়ার ম্যাচটা দেখবে বার্সার সবাই। সেটা জানতে পেরেই কি-না, ভিক্টোরিয়ার খেলোয়াড়রা ম্যাচের শুরুতে ক্যামেরার স্ক্রিনে ‘হাই’ জানাচ্ছিলেন, বার্সাকেই হয়তো! ম্যাচেও শুরুটা করেছিল ভালো। শুরুর আধঘণ্টায় সুযোগও তৈরি করেছিল গোলের; সব মিলিয়ে যেভাবে খেলা এগোচ্ছিল, তাতে বার্সার আশাটাও বাড়ছিল ক্রমেই। 

সে আশাটা ভাঙল ৩৫ মিনিটে, হেনরিখ মিখিতারিয়ানের গোলে। মিনিট সাতেক পর যখন এডিন জেকো ব্যবধানটা বাড়ালেন, তখন আর ভিক্টোরিয়ার ম্যাচে ফেরার কোনো সম্ভাবনাই বাকি রইল না, বার্সার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউটের আশাটাও শেষ তখনই। দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টার করেছে আরও দুই গোল। জেকো দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়েছেন, শেষ গোলটা করে ভিক্টোরিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন রোমেলু লুকাকু। 

‘সি’ গ্রুপে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এরপর বায়ার্নের কাছে পাত্তা পায়নি বার্সা। প্রথম দেখায় শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল দলটা। বায়ার্নের মাঠে সেদিন প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন উসমান দেম্বেলে, রবার্ট লেভান্ডভস্কিরা। ফিরতি দেখায় পারলেন না, পুরো ম্যাচে একটা শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি দলটি। 

১০ মিনিটে সাদিও মানের গোলে বার্সার দুর্দশার শুরু। ৩১ মিনিটে এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিং ব্যবধান বাড়ান। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বার্সার জালে আরও এক গোল জড়ান বেঞ্জামিন পাভার্ড। তাতে বার্সেলোনার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা পড়ে আরেকটু। 

এনইউ