বাংলাদেশের ফুটবল র‍্যাঙ্কিং ১৯২। এত দূর র‌্যাংকিংধারী দেশ হলেও এখানে ফুটবল উন্মাদনা বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে কম নয় । 

বিশ্বকাপ ফুটবল আসলেই সেই উন্মাদনা বাড়ে বহুগুণে। সত্তর-আশির দশকে আবাহনী-মোহামেডান দুই ক্লাব নিয়ে যেমন দেশ বিভক্ত হতো, তেমনি বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থন নিয়ে বিভক্ত হয়ে যান ফুটবল ভক্তরা।

২০ নভেম্বর কাতারে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। এর আগে দুই সপ্তাহও বাকি নেই আর। ঠিক এই সময় এসে জার্সি, পতাকা বেচাকেনা চলছে বেশ। রাজধানীর অভিজাত শপিং মল ডিসপ্লে সেজেছে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল জার্সিতে। তেমনি রাজধানীর গুলিস্তানের ফুটপাতও এখন পতাকা ও জার্সিতে ভরপুর। 

আব্দুল হান্নান গুলিস্তান মোড়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করছেন। তিন দশকের বেশি সময় জার্সি, পতাকা বিক্রি করা এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরু হলে বেচার মাত্রা আরো বাড়বে বহুগুণে। এখনও প্রতিদিন বেচাকেনা হচ্ছে।’

ছোট বাচ্চাদের থেকে শুরু প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্যই জার্সি রয়েছে। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, ইংল্যান্ড এই চার দলের মধ্যেই বেচাকেনা বেশি। আরেক বিক্রেতা আবদুস সামাদ বলেন, ‘আর্জেন্টিনার জার্সির ক্রেতাই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এরপর ব্রাজিল ও জার্মানি। ইংল্যান্ড এবং স্পেনও কিনছেন অনেকে।’

সামাদের সঙ্গে একমত হান্নানও, ‘আমি এখানে অনেক দিন ব্যবসা করি। আর্জেন্টিনার জার্সিই তুলনামূলক বেশি চলে। শুধু জার্সি নয়, পতাকাও চলে।’ 

পতাকার তুলনায় জার্সির বিক্রিই বেশি চলছে এখন। দেড়শ-দু’শো থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা দামের জার্সিও রয়েছে এই গুলিস্তান এলাকায়। খেলা শুরু হলে আবার পতাকা টানানোর ধুম পড়বে। 

আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকা বিক্রি করলেও সবার উপরে বাংলাদেশের পতাকা রাখছেন সবাই। নিজ দেশের পতাকার সম্মানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও, ‘অবশ্যই বাংলাদেশের পতাকা উপরে রাখি আমরা। এরপর সৌদি আরবের পতাকাও রাখি’ – বলেন বিক্রেতারা। 

এজেড/এনইউ