দোহার বিন উমরানে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। সেই সকল রেস্টুরেন্টে অনেক বাংলাদেশি কাজ করেন। বিশ্বকাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারাই যাচ্ছেন তাদেরকে শুনতে হচ্ছে, ‘ভাই এখন কি আর হায়া করা সম্ভব?’ 

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হায়া কার্ড। এই হায়া কার্ড দিয়েই মিলবে স্টেডিয়ামে প্রবেশাধিকার এবং বিদেশিদের জন্য এই হায়া কার্ডই ভিসা। কাতারের নাগরিকদেরও হায়ার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপের দর্শকদের ওমরাহর সুবিধা দিচ্ছে সৌদি সরকার

ফিফার মিডিয়া অপারেশন্সে কাজ করেন কাতারের জাভির মোহাম্মদ। বিশ্বকাপ আয়োজনের সুপ্রিম কমিটির সঙ্গে কাজ করা এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ফিফা, কাতার ও নন-কাতারি যেই হোক না কেন সবারই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে হায়া লাগবে।’

এই হায়ার জন্য সাধারণ সমর্থক-দর্শকদের জন্য প্রয়োজন ম্যাচের টিকিট। সেই টিকিট এখন দুর্লভ বস্তু। হায়ায় শুধু স্টেডিয়াম ও ভিসাই নয় আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। আগত বিদেশি ও প্রবাসীরা এই হায়ার মাধ্যমে আরো তিনজনকে কাতারে আনার সুযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন>> কাতার বিশ্বকাপে বাধ্যতামূলক 'হায়া কার্ড', আবেদন করবেন যেভাবে

এই হায়া দিয়ে কাতারের সকল গণপরিবহণে যাতায়াত ফ্রি। বাংলাদেশি প্রবাসীদের যাতায়াত খাতে অনেক অর্থ ব্যয় হয় কাতারে। হায়া কার্ড থাকলে তারা বিনা পয়সায় একমাস ফ্রি চলাচল করতে পারতেন।

এখানে কর্মরত অনেক প্রবাসী খরচের বিষয় চিন্তা করে দেশে যেতে পারেন না সব সময়। হায়া কার্ড থাকলে দেশ থেকে তিনজনকে কাতারে আনার সুযোগ ছিল। সেই সুযোগও হাত ছাড়া হওয়ায় আফসোস করছেন ওয়াক চাপাতিতে কর্মরত আব্দুর রাজ্জাক, ‘প্রথম দিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেইনি। এখন দেখছি হায়া কার্ড না করিয়ে খুব মিস করেছি।’ বাংলাদেশের মতো ভারতীয়, নেপালি প্রবাসীদেরও প্রায় একই প্রতিক্রিয়া।

আরও পড়ুন>> মেসির ম্যাজিকাল বাঁ পায়ের দাম কত?

কাতারের নাগরিকদের প্রায় সবাই ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করেন। গণপরিবহণে তাদের যাতায়াত তেমন নেই। কাতারের অনেকে ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি। ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করতে না পারায় তাদেরও হায়া নেই। এই হায়া না থাকায় অনেকে আফসোসে পুড়ছেন। কাতারে হায়া এখন অনেকটা সামাজিক প্রতীকও! 

এজেড/এটি