১৯৩০ সালের উরুগুয়ে বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হয় ফুটবল বিশ্বকাপ। এরপর ৯২ বছরে হয়েছে আরও ২১টি বিশ্ব আসর। বিশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ প্রতিযোগিতার প্রতিটি আসরেই থাকে অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার হাতে ওঠে গোল্ডেন বুটের পুরষ্কার। 

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই চল ছিল সেরা গোলদাতা পুরষ্কারের। তবে তখন অবশ্য নামটা গোল্ডেন বুট ছিল না। ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপ থেকে নাম ধরে সেরা গোলদাতার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে এটির প্রচলন শুরু হয় ‘গোল্ডেন শ্যু’ নামে। তখন আসরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরারকে সিলভার এবং ব্রোঞ্জ শ্যু পুরস্কার দেয়া হতো। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসরে গোল্ডেন শ্যু’র নাম পাল্টে গোল্ডেন বুট রাখা হয়।

১৯৩০ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে সর্বোচ্চ ৮ গোল করে গোল্ডেন শ্যু জিতেছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গুইলারমো স্টাবিলে। তবে ফুটবল বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইনের। ১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে ১৩টি গোল করে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গোল্ডেন বুট জেতার তালিকায় সবার চেয়ে এগিয়ে ব্রাজিলিয়ানরা। দেশটির মোট ৬ ফুটবলার জিতেছেন এই পুরস্কার। তবে ইতিহাসে কেউই এখন পর্যন্ত দুইবার গোল্ডেন বুট জেতার কীর্তি দেখাতে পারেনি।

গোল্ডেন বুটের ইতিহাসে সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬২ সালে। চিলিতে অনুষ্ঠিত সে বিশ্বকাপে ৬ জন ফুটবলার যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ফলে ৬ জনকেই দেওয়া হয় সেরা গোলদাতার পুরষ্কার। হাঙ্গেরির ফ্লোরিয়ান আলবার্ট, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ্যালেন্টিন ইভানোভ, ব্রাজিলের গারিঞ্চা, যুগোস্লাভিয়ার ড্রাজন জারকোভিচ ও চিলির লিওনেল সানচেজরা সবাই ৪টি করে গোল করেছেন সেবারের বিশ্বকাপে।

২৯৬২ বিশ্বকাপের পর যৌথভাবে গোল্ডেন বুট পাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে আবার ১৯৯৪ সালে। সেবার রাশিয়ার ওলেগ সেলেঙ্কো ও বুলগেরিয়ার রিস্টো স্টোয়েচকভ দুজনই সমান ৬টি করে গোল করেন। তাই দুজনই জেতেন গোল্ডেন বুট। বিশ্বকাপের এই দুই আসর বাদে আর কোনো বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড নেই।