টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি গোল্ডেন বল। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে এটি শুরু হয়েছে। পাওলো রসি, ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও রোমারিও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি গোল্ডেন বল পেয়েছেন। অন্য আসরগুলোতে গোল্ডেন বল বিজয়ী ফুটবলারের দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। 

এই পর্বে থাকছে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ী ফুটবলার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে প্রতিবেদন। 

২০০৬ বিশ্বকাপ: জিনেদিন জিদান

২০০৬ বিশ্বকাপটি জিনেদিন জিদানের জন্য খুবই আলোচিত। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জেতানো এই ফুটবলার অবসরে গিয়েছিলেন। দলের প্রয়োজনে অবসর ভেঙে আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেন। কোচের অনুরোধে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন জার্মানিতে। 

ফ্রান্স সেই বিশ্বকাপে খুব ধীরগতিতে শুরু করেছিল। জিদান দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নিজে গোল করেন এবং প্যাটট্রিক ভিয়েরাকে দিয়ে দারুণ গোল করান। জিদানের আসল কারিশমা ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে। জিদানের নৈপুণ্যে ব্রাজিল কোয়ার্টার থেকে বিদায় নেয়। জিদান অসাধারণ খেলেন সেই ম্যাচ। থিয়েরি অরি একমাত্র জয়সূচক গোল করলেও এর যোগানদাতা জিদান। কোয়ার্টারে গোলের যোগানদাতা হলেও সেমিফাইনালে তার গোলেই ফ্রান্স ফাইনালে ওঠে। পর্তুগালের বিপক্ষে জিদানই গোল করেছিলেন।

ইতালির বিপক্ষে পেনাল্টিতে ফাইনালে গোল করেন জিদান। এই গোল তাকে বিশেষ রেকর্ডের সঙ্গী করে। পেলে, ভাভার দুই বিশ্বকাপের ফাইনালে গোলের কীর্তি রয়েছে। সেই কৃতিত্বের অধিকারী হন জিদানও। ম্যাচটি নির্ধারিত সময় ১-১ ছিল। জিদানের একটি হেড ক্রসবারে লেগে ফেরত না আসলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারত ফ্রান্স। 

অতিরিক্ত সময়ে জিদানের সঙ্গে ইতালিয়ান ডিফেন্ডার মাতেরাজ্জির বাদানুবাদ হয়। জিদানের পরিবার নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় জিদান মাথা দিয়ে আঘাত করেন তাকে। রেফারি লাল কার্ড দিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করেন। এটি ছিল জিদানের ফ্রান্সের জার্সিতে শেষ ম্যাচ। জিদানের অনুপস্থিতি টাইব্রেকারে প্রভাব পড়ে। ইতালি চ্যাম্পিয়ন হয়। জিদান টুর্নামেন্টের সেরা হন।