বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরব আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেবে, এটা কে কল্পনা করেছিল! মোহামেদ আলওয়াইস ভেবেছিলেন, বিশ্বাসও করেছিলেন বৈকি! নাহয় লিওনেল মেসিদের দলের বিপক্ষে এমন অতিমানবীয় পারফর্ম্যান্স সম্ভব কী করে?

তার ডানায় চড়েই তো আলবিসেলেস্তেদের ডুবিয়ে স্বপ্নের এক উড়ান দিয়েছে সৌদি! তাই যোগ্য মানুষের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। মেসিদের মুখটা মলিন করে ট্রফিটা হাতে উঁচিয়ে ধরেছেন মোহামেদ আলওয়াইসই।

শুরুর অর্ধেই ওয়াইসের পরীক্ষার শুরু। বিষয়টা অনুমিতই ছিল। বিশ্বের অন্যতম সেরা দল, যারা আবার ৩৬ ম্যাচ ধরে হারে না, সেই দলের বিপক্ষে খেলাটায় যে লড়াইটা মূলত হবে সৌদির রক্ষণের তা সূচিটা নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার পরেই বোঝা হয়ে গিয়েছিল।

ম্যাচের প্রথমার্ধে তা-ই দেখা গেল। দ্বিতীয় মিনিটে মেসির শট ঠেকিয়ে সেভের খাতা খোলেন আলওয়াইস। তবে ১০ মিনিটে মেসির পেনাল্টিটা ঠেকাতে পারেননি। ক্যারিয়ারে প্রতি ৪ ম্যাচে অন্তত একটি ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। আজও জিতবেন, ধারণা করা হচ্ছিল তেমনটাই।

তবে হিসেবটা বদলে গেল দ্বিতীয়ার্ধে। বিরতি থেকে ফিরেই দুই গোল করে বসল সৌদি। তাতে ওয়াইসের গুরুত্বটাও বেড়ে গেল অনেক। তার গোল ঠেকাতে পারা আর না পারাতেই যে আটকে ছিল সৌদি আরবের ঐতিহাসিক জয়!

ওয়াইস পারলেন। সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে যখন হন্যে হয়ে ঘুরছে আর্জেন্টিনা তখন গুনে গুনে ঠেকালেন ৫টা শট। তাতেই মেসিদের হতাশায় ডুবিয়ে জয়ীর হাসি ফোটে আরবদের মুখে। আর অবধারিতভাবেই নায়কের পুরস্কারটা পেয়ে যান আলওয়াইস।

এনইউ