সৌদি আরবের বিপক্ষে আর যা-ই হোক, এমন হার নিশ্চয়ই কল্পনা করেনি আর্জেন্টিনা। সেই অকল্পনীয় বিষয়টাই ঘটে গেছে লিওনেল মেসির দলের সঙ্গে। ২-১ ব্যবধানে হেরে বসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দলটির কাছে। তাতে দলটির বিশ্বকাপের শেষ ষোলয় যাওয়াই পড়ে গেছে ধোঁয়াশায়।  

বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচেই এমন হারের অভিজ্ঞতা অবশ্য আর্জেন্টিনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে আকাশী-সাদাদের। তাও আবার একবার দু’বার নয়, পাঁচ পাঁচ বার! এক ভেতরে আবার একবার আর্জেন্টিনা হেরেছিল সোনালি সময়ের ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে দলে নিয়েও!

আলবিসেলেস্তেদের সঙ্গে বিষয়টা প্রথম ঘটেছিল ১৯৩৪ বিশ্বকাপে। সেবার বিশ্বকাপ হয়েছিল নকআউট ফরম্যাটে, প্রথম ম্যাচে সুইডেনের কাছে ২-৩ হেরে বিদায় নেয় তারা। এর পর ১৯৫০ এবং ১৯৫৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা খেলতেই পারেনি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ দিয়ে যখন আবারও ফিরল ফুটবলের বিশ্ব আসরে, সেবারও প্রথম ম্যাচে হেরে বসে দলটি তারা।

এরপর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার হারের ঘটনা ঘটেছে ১৯৭৪ সালে। সেবার পোল্যান্ডের কাছে ২-৩ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮২ বিশ্বকাপে তারা প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের কাছে ০-১ ব্যবধানে হারে। 

১৯৯০ সালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ও হট ফেভারিট আর্জেন্টিনা নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসে ক্যামেরুনের কাছে। সেবার দলে ছিলেন ম্যারাডোনা, ছিলেন দলটির অধিনায়কও! যদিও এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে আলবিসেলেস্তেরা পৌঁছে যায় ফাইনালেও। 

আজকের আগ পর্যন্ত সেটাই শেষ বার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারে আর্জেন্টিনা। ভুলতে বসা সে স্মৃতিই এবার মেসিদের ফিরিয়ে দিল সৌদি আরব। যার ফলে এখন লিওনেল স্ক্যালোনির দলের পিঠটা ঠেকে গেছে দেয়ালে।

এনইউ