গেল বারের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ায় আছে তারকার ছড়াছড়ি। ব্যালন ডি অর জেতা লুকা মড্রিচ, একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা মাতেও কোভাচিচরা আছেন দলটিতে। সেই দলটিকেই এবার গোলশূন্য ড্রয়ে বাধ্য করল মরক্কো। যার ফলে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেখা মিলল এবারের বিশ্বকাপের তৃতীয় গোলহীন ড্র।

চার বছর আগের সেই ফাইনাল খেলা দলের সঙ্গে এই ক্রোয়েশিয়ার অবশ্য পার্থক্যটা আকাশ আর পাতালের। সেই দল থেকে অনেক মুখই বদলে গেছে এবার। পারফর্ম্যান্সটাও যেন বদলে গেল। চার বছর আগের সেই আগুনে ফর্ম, যাতে ভর করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেও গুঁড়িয়ে দিয়েছিল লুকা মড্রিচের দল, সেটার যেন আজ দেখাই মিলল না।

বলের দখল নিয়ে খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। তবে যে দলটা শেষ তিন বছরে ৪০ ম্যাচের মধ্যে হেরেছে মোটে দুটো ম্যাচ, সেই মরোক্কর রক্ষণ ভেদ করা যে মোটেও সহজ কাজ নয়, তা ম্যাচের আগেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। ম্যাচে তার প্রমাণ মিলল।

সবচেয়ে বড় সুযোগটা অবশ্য তৈরি করেছিল ক্রোয়েশিয়াই। বিরতির একটু আগে বাম প্রান্ত থেকে করা এক ক্রস দারুণভাবে প্রতিপক্ষ গোলমুখে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নিকোলা ভ্লাসিচ। তবে তার পথটা আগলে দাঁড়ান মরোক্ক গোলরক্ষক ইয়াশিন বনো। তার ডান পায়ে লাগে বল, গোলবঞ্চিত থেকে বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।

র‍্যাঙ্কিংয়ের ২২তম অবস্থানে থাকা মরক্কো তাদের বড় সুযোগটা পেয়েছিল ম্যাচের ৫১ মিনিটে। ফরোয়ার্ড বুফালের শটটা ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন, এরপর মাজরাভি দারুণ এক হেডারে বলটা পাঠিয়েই দিচ্ছিলেন জালে। তবে তার পথটা এবার আগলে দাঁড়ান ডমিনিক লিভাকোভিচ।

পিএসজি ফুলব্যাক আশরাফ হাকিমিও এরপর দূরপাল্লার শটে লিভাকোভিচকে পরীক্ষায় ফেলেছিলেন। তবে সেটা ক্রোয়াট গোলরক্ষক সামলেছেন ভালোভাবেই। 

এই গ্রুপে আছে বেলজিয়াম-কানাডার মতো দলও। নিজেদের সুযোগটা টিকিয়ে রাখতে তাই ক্রোয়েশিয়া আর মরক্কো দুই দলই খেলেছে খানিকটা রয়েসয়ে। ফলে ম্যাচটাও শেষ হয়েছে ম্যাড়মেড়ে এক ড্রয়ে। 

এনইউ