বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি গোল্ডেন বল। ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে এটি শুরু হয়েছে। পাওলো রসি, ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও রোমারিও বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি গোল্ডেন বল পেয়েছেন। অন্য আসরগুলোতে গোল্ডেন বল বিজয়ী ফুটবলারের দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। 

এই পর্বে থাকছে ২০০২ সালের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জয়ী ফুটবলার অলিভার কান ও ১৯৯৮ সালের বিজয়ী রোনালদোকে নিয়ে প্রতিবেদন। 

২০০২ বিশ্বকাপ: অলিভার কান

একবিংশ শতাব্দীর প্রথম বিশ্বকাপ ছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে। সেই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। রোনালদোর অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলেও টুর্নামেন্টের সেরা নায়ক ছিলেন অলিভার কান। ২০০২ বিশ্বকাপে অন্যতম আকর্ষণ ছিল তার গোলকিপিং।

কান সেই বিশ্বকাপে মাত্র তিনটি গোল হজম করেছেন। সেই তিন গোলের দুইটি আবার ফাইনালে। ফাইনালে রিভালদোর প্রথম গোলটি তার হাত ফস্কে পড়ে যায়। ফাইনালে তিনি খানিকটা ইনজুরি আক্রান্ত থাকলেও দুই গোল হজমের পেছনে কোনো অজুহাত দেননি। টুর্নামেন্ট জুড়ে অসাধারণ গোলকিপিং করার জন্য তিনি লেভ ইয়াসিন পুরস্কার পান। এসঙ্গে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বলও পেয়েছেন। তিনিই এখন পর্যন্ত একমাত্র গোলরক্ষক যিনি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পেয়েছেন। 

তিনি এখন পর্যন্ত একমাত্র জার্মান গোলরক্ষক যিনি বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ গোল হজম করেননি।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ: রোনালদো নাজারিও

বিংশ শতাব্দীর শেষ বিশ্বকাপে রোনালদো নাজারিও অনবদ্য ফুটবল প্রতিভার পসরাই সাজিয়ে বসেছিলেন। আগের বিশ্বকাপে ব্রাজিল জিতেছিল শিরোপা। কিন্তু সেই বিশ্বকাপে স্কোয়াডে থাকলেও ম্যাচ খেলা হয়নি সদ্য কৈশোর পেরোনো রোনালদোর। 

সেই রোনালদো নিজের রূপটা দেখালেন পরের বিশ্বকাপে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে রোনালদো করেছিলেন ৪ গোল, করিয়েছিলেন আরও তিনটি গোল। এমন অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সের সুবাদেই তিনি জেতেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল।

তবে এত কিছু করেও দলের শিরোপাটা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। হেরেছেন ফাইনালে। সে আক্ষেপ যদিও পরের বিশ্বকাপেই ঘুচিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো।