ফ্রান্সের বিপক্ষে গত ম্যাচে লিড নিয়েও বিধ্বস্ত হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তাই আরব দেশ তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ঝুঁকি নিতে চায়নি দলটি। ম্যাচের পুরোটা সময় আক্রমণের পাশাপাশি নিশ্ছিদ্র রক্ষণভাগ নিশ্চিত করেছে গ্রাহাম আরনল্ডের শিষ্যরা। আর তাতে ব্যবধানটা বড় না করতে পারলেও তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা। 

কাতার বিশ্বকাপের সপ্তম দিন শনিবারে আল জয়নব স্টেডিয়ামে তিউনিশিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওশেনিয়ার দলটির হয়ে ম্যাচজয়ী গোলটি করেছেন মিচেল ডিউক। 

অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে জমে উঠেছে ডি গ্রুপের লড়াই। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন টেবিলের দুই নম্বরে, আর তাতে বড় হারের পরও আশা টিকে থাকল দলটির। এক ম্যাচ কম খেলা ডেনমার্ক এক পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই। প্রথম ম্যাচে বড় জয় তোলা ফ্রান্স আছে গ্রুপের শীর্ষে, দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া তিউনিশিয়া আছে তলানিতে। 

আরব দেশ কাতারের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে মাঠে নামলেও অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় তিউনিশিয়া। প্রথম বিশ মিনিটে সকারুসরা বেশকিছু আক্রমণ করলেও ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে সেগুলোকে পূর্ণতা দেওয়া হয়নি। ডেডলক ভাঙেন মিচেল ডিউক। 

২৩তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রেইগ গুডউইনের ক্রস তিউনিসিয়ার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে ডি-বক্সের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা মিচেল ডিউকের কাছে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মাথা ছুঁয়ে বলকে জালের ঠিকানা দেখিয়ে দেন ডিউক। 

এগিয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণের ধার কমেনি অস্ট্রেলিয়ার। বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ সবকিছুতেই আধিপত্য ছিল তাদের। কিন্তু ধীরে ধীরে রক্ষণাত্মক ফুটবলের দিকে ধাবিত হয় সকারুসরা। আর তাতে সুযোগ পেয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে তিউনিশিয়া।

৩৮ মিনিটে ইউসেফ এমসাকনিকে ডি-বক্সের ভেতর আটকে দেন অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার। যোগ করা সময়েও গোলের সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেন এমসাকনি। সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। পিছিয়ে থাকার আক্ষেপ নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় তিউনিসিয়াকে।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে তিউনিশিয়া। তবে আফ্রিকান দলটি সুযোগ হারালেই প্রতি আক্রমণে উঠছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে দুদলই একাধিক সুযোগ মিস করায় ১-০ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।