মাত্র দ্বিতীয় বিশ্বকাপ চলছে কিলিয়ান এমবাপের। সব মিলিয়ে খেলেছেন মোটে নয়টি বিশ্বকাপ ম্যাচে। এরই মধ্যে তিনি বনে গেছেন ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। 

তার প্রমাণও হরহামেশাই দিচ্ছেন তিনি। আজ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে দল যখন গোলের জন্য হাপিত্যেশ করছিল, তখনই করে বসলেন জোড়া গোল। তাতে ভস করেই তো সবার আগে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেছে ফ্রান্স!

ফ্রান্স আজ শুরু থেকেই খেলছিল দারুণ দাপট নিয়ে। তবে ডেনমার্কও সে আক্রমণ সামলাচ্ছিল রক্ষণের চক্রব্যূহ দিয়ে। তবে সে চক্রব্যূহটা শেষমেশ ভাঙে ৬০ মিনিটে। ভাঙেন এমবাপে। থিও এর্নান্দেসের দুরন্ত পাস পেয়ে চলতি বলে শট নিয়ে বিপক্ষ গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি।

তবে ফ্রান্সের সে উৎসব টিকল মাত্র ৭ মিনিট। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের নেওয়া কর্নার সাইড ফ্লিক করলেন ইওয়াখিম এন্ডারসেন, তাতে মাথা ছুঁইয়ে গোলটা করলেন আন্দ্রেস ক্রিশ্চেনসেন। ডেনমার্ক ফিরে এল সমতায়।

খেলাটাও যেন জমে উঠল। এর পরের দশ মিনিট খেলাটা হয়েছে এপাশে আর ওপাশে। একেবারে কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান! অবশেষে ফ্রান্সই সেই লড়াইয়ে জিতল। গোলটা করলেন সেই এমবাপেই! অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানের দারুণ এক ক্রসে পা ছুঁইয়ে বলটা জড়ান জালে। সেই এক গোলই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়, ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে চলে যায় শেষ ষোলোয়।

আজকের দুই গোলে এমবাপে পেছনে ফেলেছেন থিয়েরি অঁরিকে। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কিংবদন্তি এই স্ট্রাইকারের গোল ছিল ৬টি, আজকের দুই গোলসহ এমবাপের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৭-এ।

এখানেই শেষ নয়, মেসিকেও ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। পাঁচ বিশ্বকাপ খেলে মোটে ৭ গোল করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।

এমবাপে আরও এক কিংবদন্তিকে ছুঁয়ে ফেলার কীর্তি গড়েছেন আজ। দেশের হয়ে এখন এমবাপের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৩১-এ। দেশের জার্সি গায়ে জিনেদিন জিদানেরও গোলসংখ্যা এই ৩১ ই। আজকের জোড়া গোলের পর জিদানের পাশে দাঁড়িয়েছেন এমবাপে, বনে গেছেন ফ্রান্সের ইতিহাসের সপ্তম সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এনইউ