ব্রাজিলের ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলন। সেটা রীতিমতো রূপ নিল নেইমারের ইনজুরি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে। ব্রাজিলের সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন কোচ তিতে, সঙ্গে ছিলেন সহকারী কোচ সিজার সাম্পিও এবং ডিফেন্ডার মারকিনিয়োস। সংবাদ সম্মেলনে দশটিরও বেশি প্রশ্ন হয়েছে নেইমারকে নিয়ে।

ম্যাচের পরপরই খোড়াতে দেখা গিয়েছিল নেইমারকে। সামাজিক মাধ্যমে নেইমারের গোড়ালির ইনজুরি ছড়িয়ে পড়ে ম্যাচ শেষেই। নেইমারের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে তার সতীর্থ মারকিনিয়োস বলেন, ‘সে এখন পুর্নবাসন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ফিজিও থেরাপির মধ্যে আছে। দ্রুত দলের সঙ্গে ফেরার চেষ্টা করছে সে।’

ব্রাজিলে এখন পারফর্মারের অভাব নেই। তবু নেইমার এখনো ব্রাজিলের প্রাণভোমরাই। গ্রুপ পর্বে আপাতত সেই নেইমারকে পাচ্ছে না ব্রাজিল। এই প্রসঙ্গে তার সতীর্থের মন্তব্য, ‘আমরা শতভাগ আত্মবিশ্বাসী। আমরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ এবং বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য তৈরি। বিশ্বকাপে প্রফেসরের (তিতে) ২৬ জনের স্কোয়াডের সবাই যে কোনো সময় যে কোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত। তবে এটা বলের অপেক্ষা রাখে না আমরা অবশ্যই চাই নেইমার ও দানিলো আমাদের সঙ্গে থাকুক।’

অনেক সূত্রের দাবি, নেইমারের পক্ষে এই বিশ্বকাপে খেলা সম্ভব নয়। সম্পূর্ণ ফিট হয়ে মাঠে নামতে তার কয়েক সপ্তাহ লাগতে পারে। নেইমার আদৌ এই বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না ঘুরে ফিরে প্রসঙ্গ এসেছে কয়েকবারই। তিতের উত্তরের সারমর্ম, ‘আমার অবস্থান থেকে ক্লিনিক্যালি বলতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি নেইমার এবং দানিলো বিশ্বকাপে খেলবে এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট আমার মতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে।’

সার্বিয়ার ম্যাচে নেইমার ৯ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন। তারকা খেলোয়াড়কে এত ফাউলের শিকার হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে তিতে বলেন, ‘আমরা ফুটবলকে উপভোগ করতে চাইলে, ফাউলের দিকে নজর দেওয়া উচিত। তারা নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের দিকে ফোকাস করেছিল। এটাই ঘটেছিল এবং এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

সম্মেলন এক সাংবাদিকের প্রশ্নে চমকে উঠেছিলেন কোচ তিতে। নেইমার নাকি খানিকটা ইনজুরিতেই ছিলেন। সার্বিয়া ম্যাচ খেলানোয় ইনজুরিতে পড়েছেন বলে প্রশ্ন করেন সেই সাংবাদিক। এই প্রশ্ন বুঝতে কষ্ট হয় তিতের। পুনরায় এই প্রশ্ন করার পর বিস্মিত কণ্ঠে তিতে বলেন, ‘নেইমারের আগে ইনজুরি ছিল বলে জানতাম না। এটা একটা দুর্ঘটনা কিন্তু সেটা ফাউলের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত। যতক্ষণ সে উপভোগ করেছে মাঠেই ছিল।’

নেইমারকে অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে খানিকটা আলাদা করেই দেখছেন কোচ, ‘নেইমার নিঃসন্দেহে এক্সটা অর্ডিনারি খেলোয়াড়। একটি ম্যাচে তিন-চারটি বিশেষ মুহূর্ত আসে। সেই মুহূর্ত তৈরি করার ক্ষেত্রে নেইমারের অবদান থাকে।’ নেইমারকে প্রশংসায় ভাসালেও অন্যদের প্রতি আস্থার কথাও জানিয়েছেন, ‘আমাদের সকল খেলোয়াড়ই মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত। সবারই সমান সামর্থ্য রয়েছে।’

এজেড/এনইউ