প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেই নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিল মরক্কো। তবে ভালো খেললেও সেদিন জয় তুলতে পারেনি আফ্রিকার দলটি। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ভুলটার পুনরাবৃত্তি করল না তারা। শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় ছিলিয়ে নিল দলটি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর অন্যতম বড় কারিগর ছিলেন আব্দেল হামিদ সাবিরি। 

দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ২২ নম্বরে থাকা মরক্কো। রোববার ম্যাচ শুরুর আগেই বড়সড় একটি ধাক্কা খায় মরক্কো। শুরুতে একাদশে থাকা গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো চোখের সমস্যার কারণে মাঠে নামার ঠুইক আগ মুহূর্তে ছিটকে যান দল থেকে। পোস্টের দায়িত্ব সামলাতে মাঠে নামেন মুনির এল কাজুই।

তবে এসব কোনোকিছুকেই বিপদ হতে দেননি মরক্কোর অধিনায়ক। শক্তিশালী বেলজিয়ামের বিপক্ষে প্রথমার্ধে আক্রমণের ধার বজায় রেখেছে আফ্রিকার দলটি। তবে সফলতা সহজেই ধরা দেয়নি। প্রথমার্ধে একবার জালের দেখা পেয়েও অফসাইডের কারণে হতাশ হতে হয় তাদের।

দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কোর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক সাবিরি। বাঁ দিকের কর্নার ফ্ল্যাগের কাছাকাছি থেকে সাবিরির ফ্রি-কিক বিপজ্জনক কিছু ছিল না গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার জন্য। সামনে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় থাকায় যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলেন তিনি। বাঁক খেয়ে বল আশ্রয় নেয় জালে। আর তাতে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ফ্রি-কিক গোলদাতা হয়ে যান তিনি। 

শুধু গোলই নয়, পুরো ম্যাচজুড়েই সাবিরির ইম্প্যাক্ট ছিল চোখে পড়ার মতো। রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ পুরোটাই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মরক্কো অধিনায়ক। বিপজ্জনক জায়গা থেকে বল ক্লিয়ার করেছেন ১১ বার। এছাড়া পাস একুরেসিও ছিল ৮৪ শতাংশ। ৩৮টি পাসের মধ্যে ৩২টিই দিয়েছেন সঠিকভাবে।