গেলবারের রানার আপ ক্রোয়েশিয়ার এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। মরক্কোর বিপক্ষে ড্র নিয়ে টুর্নামেন্টে পা রেখেছে লুকা মদ্রিচের দল। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচেও শুরুটা হলো দুঃস্বপ্নের মতো। ৬৮ সেকেন্ডের মাথায়ই প্রথম গোল হজম করতে হয় তাদের। তবে এমন একটা পরিস্থিতি থেকেও শেষমেষ বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি। আর সেই জয়ের নায়ক ক্রামারিচ। 

সতীর্থ তাহোন বিউকানানের ক্রস থেকে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডে জালে বল জড়িয়ে ক্রোয়েশিয়াকে অনেকটা চমকেই দেন কানাডিয়ান ফরোয়ার্ড আলফানসো ডেভিস। তবে লিড পাওয়ার পর থেকেই রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে কানাডা। আর সুযোগ পেয়ে চড়াও হতে শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু একের পর আক্রমণ করেও জালের দেখা পাচ্ছিলেন না কেউই। 

দলের প্রয়োজনের সময় গোলটা এলো ক্রামারিচের পা থেকে। ৩৯তম মিনিটে ইভান পেরিসিচের চমৎকার অ্যাসিস্টে  দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। সমতায় ফিরিয়ে দলের চাপ অনেকটাই কমিয়ে ফেলেন ক্রামারিচ। নির্ভার ক্রোয়েশিয়া তাই দ্বিতীয় গোল পেতে সময় নিয়েছে মাত্র ৭ মিনিট। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ক্রোয়েশিয়া। 

তবে এখানেই শেষ নয় ক্রামারিচের জাদু। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে যখন মরিয়া কানাডা, তখনই আবার গোল করে ক্রোয়েশিয়ার জয়টা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন ৩১ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। পেরিসিচের কাছ থেকে পেনাল্টি স্পটের কাছে বল পেয়ে আলতো টোকায় জায়গা করে নেন ক্রামারিচ। পরে দূরের পোস্ট দিয়ে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।

এই দুই গোল ছাড়াও ক্রামারিচ গোলে শট নিয়েছেন মোট ৩ বার। ডান প্রান্ত থেকে পুরো ম্যাচজুড়েই ছিলেন প্রতিপক্ষের ভীতির কারণ হয়ে। ফরোয়ার্ড লাইনে খেললেও তার পাস একুরেসি ছিল দুর্দান্ত। ৩০ টি পাসের ২৬টিই দিয়েছেন সঠিকভাবে। এছাড়া লং পাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও  যথেষ্ট মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি।