ছোট দেশ কাতার, রাজধানী দোহা আরো ছোট। স্টেডিয়াম টু স্টেডিয়াম খেলা কাভার করতে গিয়ে দোহার প্রায় সব রাস্তাই দেখা হয়েছে। মূল সড়কগুলোতে বিশ্বকাপের লোগো বোর্ড থাকলেও জনজীবনে সেই উপস্থিতি তেমন নেই। 

এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতার এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে। স্বাগতিক কাতারের পতাকা বাড়ির বারান্দায় ঝুলতে দেখা গেছে হাতে গোনা। সেখানে ১৯২ র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা বাংলাদেশের মতো আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা ও জার্সিতে বিভক্ত। 

আয়োজক হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সমালোচনা। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর পরও থেমে নেই সমালোচনা। সমালোচনা সত্ত্বেও গ্যালারিতে দর্শকের ঢেউ বইছে। লুসাইলে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো ম্যাচে স্টেডিয়ামে ছিল ৮৮ হাজারের বেশি দর্শক যা ১৯৯৪ আমেরিকায় অনুষ্ঠিত ফাইনালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। 

স্টেডিয়ামগুলোতে খেলার আগে বিশ্বকাপের প্রাণ পাওয়া যায়। নানা দেশের সমর্থকদের ভিড়ে বিশ্বকাপের রঙিন চিত্র ফুটে উঠে। ম্যাচের আগে-পরে স্টেডিয়ামেই মিলে বিশ্বকাপের প্রাণ। অন্যত্র বিশ্বকাপের আমেজ সেভাবে মিলে না। 

স্টেডিয়াম ছাড়া সন্ধ্যার পর কর্ণিশ চত্বরে একটু বর্ণিল চিত্র পাওয়া যায়। ফিফার বড় ফ্যান ফেস্ট এখানেই। যে সকল দর্শকদের ম্যাচ টিকিট নেই তারাই মুলত কর্ণিশে বড় পর্দায় খেলা দেখেন। স্টেডিয়ামে বিয়ার ও অ্যালকোহলের ব্যবস্থা নেই। ফ্যান জোনে অ্যালকোহল থাকায় ইউরোপ ও লাতিন সমর্থকদের ভিড় সন্ধ্যা ও রাতের বড় ম্যাচগুলোতে কর্ণিশে বেশি থাকে। কর্ণিশ চত্বরের পাশে রয়েছে আরব সাগরের এক অংশ। সেই সাগর পাড় অবশ্য এশিয়ান দর্শকদের দখলে বেশি থাকে। 

কর্ণিশ ফ্যান জোনে অনেক সময় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। এজন্য আয়োজক কাতার এখানে ডিজে, লেজার শো সহ নানা আয়োজনও করে৷ কর্ণিশ চত্বরের পাশেই রয়েছে ফ্লাগ জোন। যেখানে বিশ্বকাপের অংশগ্রহণকারীদেশগুলোর নানা দেশের পতাকা। 

ইউরোপ ও অন্য অনেক দেশে ফুটপাত দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করে। কাতারে সেই রকম ব্যবস্থা নেই। এখানে রাস্তায় শুধু গাড়ি চলাচল। কোনো মানুষকে হাটতে দেখা যায় না৷ কেউ ব্যক্তিগত গাড়িতে চলছেন কেউ গণপরিবহনে। 

বিশ্বকাপ উপলক্ষে ফিফা ও কাতার নানা দেশ থেকে ভলান্টিয়ার নিয়োগ দিয়েছে। স্টেডিয়াম, মেট্রো কোথাও কাতারি ভলান্টিয়ার সেভাবে চোখে পড়েনি। শুধু ভলান্টিয়ার নয়, ড্রাইভার, সিকিউরিটি সহ প্রায় সব খাতেই কাতারের উপস্থিতি খুব কম। বিদেশি ড্রাইভার, ভলান্টিয়ার, সিকিউরিটির তদারকির তদারকি করেন অবশ্য কাতারীরা। 

এজেড/এটি