প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ শাণিয়েও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ব্রাজিল। আক্রমণের ধার বাড়াতে তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পাকুয়েটার পরিবর্তে রদ্রিগোকে নামান তিতে। ফ্রেডের পরিবর্তে নামেন ব্রুনো গুইমারেস। খেলার গতি বাড়িয়ে জালের দেখা পেতেও দেরই হয়েনি সেলেসাওদের। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দুর্দান্ত সেই গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। 

৬৪ তম মিনিটে কাসেমিরোর বাড়ানো বল অরক্ষিত অবস্থায় পেয়ে যান ভিনিসিয়াস। রিয়াল ফরোয়ার্ডকে ট্যাকেল করতে গিয়ে সামনে থাকা একমাত্র সুইস ডিফেন্ডার মাটিতে পড়ে গেলে দারুণ সুযোগ পেয়ে যান ভিনি। বাঁ প্রান্ত থেকে একাই বল টেনে নিয়ে জালে জড়ান তিনি। স্কোরশিটে নাম লিখিয়ে উদযাপনও প্রায় শেষ করে ফেলেছিল সেলেসাওরা। কিন্তু তখনই ভিএআর জানায়, এটা অফসাইড। 

এর আগে প্রথমার্ধেও দুর্দান্ত সব সুযোগ তৈরি করেছিল ব্রাজিল। কিন্তু ভাগ্যের জোরে বারবার বেঁচে যায় সুইসরা। দ্বাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ব্রাজিলের। কিন্তু গোললাইনের একদম কাছ থেকে রিচার্লিসনের বাড়ানো বলটা ভিনিসিয়াসের কাছে পৌঁছানোর আগেই ক্লিয়ার করে দেন এলভেদি। 

১৯ তম মিনিটে আবারও ব্রাজিলের সুযোগ নষ্ট করেন এলভেদি। সুইস ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ভিনিসিয়াসের দেওয়া বলটা ঠিকঠাক মতোই পেয়েছিলেন পাকুয়েটা। কিন্তু ওয়েস্ট হ্যাম মিডফিল্ডারের বাড়ানো বলটা রিচার্লিসন রিসিভ করার আগেই ক্লিয়ার করে দেন এলভেদি।

সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করেছেন ভিনিসিয়াস। ২৭ তম মিনিটে রাফিনহার ক্রস থেকে পাওয়া বলটা শুধু কোনাকুনি রাখতে পারলেই হয়তো পেতে পারতেন গোল, কিন্তু এমন সুযোগ পেয়েও বল ঠিকঠাক ছোঁয়াতে পারলেন না রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।