বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব শেষের দিকে চলে এসেছে। গত রাতে পর্তুগাল আর উরুগুয়ের ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচদিবস। তবে শেষ দিনে কেবল ব্রাজিল, ফ্রান্স আর পর্তুগাল ছাড়া স্বস্তিতে নেই আর কেউই। এই তিন দলই যে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে পেরেছে!

তবে ব্রাজিল, ফ্রান্স, পর্তুগাল ছাড়াও নিশ্চিন্ত অবস্থায় আছে আরও দুই দল। কাতার আর কানাডার যে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই, চিন্তা আসবে কোত্থেকে! 

এই ৫ দল ছাড়া অবশ্য বাকি ২৭ দলই আছে দ্বিতীয় রাউন্ডের দৌড়ে। শেষ দিনে নানা সমীকরণের সামনে পড়ে থাকবে সবাই।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় ‘এ’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। নেদারল্যান্ডস খেলবে কাতারের বিপক্ষে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে সেনেগালের মুখোমুখি হবে ইকুয়েডর।  

নেদারল্যান্ডসের সামনে যে সমীকরণ-

দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ডাচরা অনেকটাই আছে সুবিধাজনক অবস্থানে। আজ হার এড়ালেই শেষ ষোলোয় চলে যাবে লুই ফন হালের দল। হেরে গেলেও সব আশা শেষ নয়, সেক্ষেত্রে ইকুয়েডরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দলটি, সেই ম্যাচে ইকুয়েডর সেনেগালকে হারালেই গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংরা।  

তবে বিদায়ের শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না দলটির। নিজেদের ম্যাচে যদি ৩ গোলে হারে ডাচরা, সেক্ষেত্রে ইকুয়েডর সেনেগালের সঙ্গে ড্র করলেই বিদায়ঘণ্টা বাজবে ইউরোপীয় দলটির। নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ অবশ্য কাতার, যারা দুই ম্যাচেই হেরে বসেছে। সেই দলটি তৃতীয় ম্যাচে এসে ইউরোপীয় এই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেবে, সেটা নেহায়েতই আকাশ কুসুম কল্পনা! তার ওপর ইতিহাসও পক্ষ নিচ্ছে কমলা-বিপ্লবীদেরই। নিজেদের ইতিহাসে একবার ছাড়া কখনোই শেষ গ্রুপ ম্যাচে হারেনি দলটি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের কাছে ২-৩ গোলের হারটা বাদ দিলে বাকি সাত ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে দলটি, ড্র করেছে তিন ম্যাচে। শেষ ম্যাচে তাই ডাচরা পা রাখবে অনেকটা নির্ভার হয়েই।

ইকুয়েডরের সামনে যে সমীকরণ-

ডাচদের সমান চার পয়েন্ট আছে তাদের ঝুলিতে। তাই তাদের হিসেবটাও অনেকটাই নেদারল্যান্ডসের মতো, জিতলে তো কথাই নেই, ড্র করলেও চলে যাবে শেষ ষোলোয়। হারলে অনেকটাই শেষ দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা, তবে নেদারল্যান্ডস যদি তাদের চেয়েও ব্যবধানে হেরে বসে, তাহলে একটা সুযোগ থাকছে তাদের সামনে। বর্তমানে গোল ব্যবধানে দুই দলই আছে সমান অবস্থানে। তার মানে শেষ ম্যাচে যদি ইকুয়েডর হারে ১ গোলে, নেদারল্যান্ডসকে তখন হারতে হবে ২ গোলে, তাহলে দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলোয় যাবে দক্ষিণ আমেরিকান দেশটি।

ডাচরা আর ইকুয়েডর যদি নিজ নিজ ম্যাচে জেতে, তাহলে গোল ব্যবধানের হিসেবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ নির্ধারিত হবে। দুই জায়গাতে সমতা থাকলে প্রথমে দেখা হবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াই, সেখানে গোল ব্যবধান, সেখানেও সমতা না ভাঙলে দেখা হবে ফেয়ারপ্লে।

সেনেগালের সামনে যে সমীকরণ-

ইকুয়েডরকে হারাতে পারলেই শেষ ষোলোয় চলে যাবে সেনেগাল। ড্র করলেও পথ বন্ধ হয়ে যাবে না। নেদারল্যান্ডস যদি কাতারের কাছে ৩ গোলে হারে তাহলে সেনেগাল দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে যাবে শেষ ষোলোয়। নিজেদের ম্যাচে জেতার পাশাপাশি ডাচরা যদি হেরেই যায়, তাহলে শেষ ষোলোয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে সেনেগাল।

এনইউ/এটি