আর্জেন্টিনার স্বস্তির দ্বিতীয় গোল এলো অ্যালভারেজের পা থেকে
এক গোলের লিড যে কোনো সময় উবে যেতে পারে। সে অভিজ্ঞতা আর্জেন্টিনার হয়েছে সৌদি আরব ম্যাচেই। সে কারণে পোল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটা গোল প্রয়োজন ছিল আর্জেন্টিনার। আর্জেন্টিনাকে সেই গোলটা এনে দিলেন ইউলিয়ান অ্যালভারেজ। তার পা থেকে আসা দারুণ গোলটাই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিলো ২-০ গোলে।
আর্জেন্টিনা শুরু থেকেই ত্রাস ছড়িয়েছে পোলিশ রক্ষণে। ৬ আর ১০ মিনিটে মেসির দুটো শট ঠেকিয়ে দেন সজেসনি। তবে আর্জেন্টিনার প্রথম দারুণ সুযোগটা এসেছিল ম্যাচের ২৮ মিনিটে। ইউলিয়ান অ্যালভারেজের দারুণ একটা শট গোলরেখা ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন সজেসনি। ফিরতি চেষ্টায় মার্কোস আকুনইয়া শটটা নেন লক্ষ্যের অনেক বাইরে দিয়ে।
বিজ্ঞাপন
এরপরই সেই পেনাল্টি সেভ। সেটা পেনাল্টি ছিল কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। বাম পাশ থেকে আসা ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করতে চেয়েছিলেন মেসি, তার হেডের পর তার চোখে হাত লাগে সজেসনির। ভিএআর দেখে এসে পেনাল্টি দেন রেফারি। মেসির নেওয়া স্পটকিকটা বাম পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। সে যাত্রায় গোল আসেনি, প্রথমার্ধেও আর গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। তাতে দুশ্চিন্তাটা বেড়ে চলেছিল ক্রমেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্জেন্টিনাকে সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। বিরতির পর প্রথম আক্রমণেই ডান পাশ দিয়ে আক্রমণে ওঠা নাহুয়েল মলিনা নিচু ক্রস বাড়ান বক্সে। সেটা পোলিশ রক্ষণ বিপদমুক্ত করতে পারেনি। ফাঁকায় থাকা ম্যাক অ্যালিস্টার বুদ্ধিদীপ্ত এক শটে বলটা জালে জড়ান। তাতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে যেন আর্জেন্টিনা। এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় গোলের জন্য আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হয় আরও ২১ মিনিট। ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় ম্যাচের গোলদাতা এনজো ফের্নান্দেজ বল বাড়ান বক্সে থাকা ইউলিয়ান অ্যালভারেজকে। সেখান থেকে তিনি যা করলেন, তা যেন সেই মেক্সিকো ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই! শুধু পার্থক্য, সেদিনের শটটা নিয়েছিলেন ফের্নান্দেজ, আজ অ্যালভারেজ। বক্সের ভেতর বাম পাশ থেকে শট নেন ফার পোস্টে, সেটা গোলরক্ষক ভয়চেখ সজেসনির হাত ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। তাতেই দুই গোলের স্বস্তি চলে আসে আর্জেন্টিনা শিবিরে।
এনইউ