শুরুর দুই ম্যাচে মেক্সিকোর পয়েন্ট ছিল মোটে একটি। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে নিজেরা তো জিততে হতোই, তাকিয়ে থাকতে হতো পোল্যান্ড আর আর্জেন্টিনা ম্যাচের দিকে।

মেক্সিকো নিজেরা জিতেছে ঠিকই। তবে তাতে শেষ রক্ষা হয়নি আর। নিজেদের জয়ের ব্যবধানটা প্রত্যাশিত হয়নি। তাই ৪৪ বছর পর এই প্রথম বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলেই বিদায় নিতে হয়েছে মেক্সিকানদের।

ম্যাচের আগে মেক্সিকোর পয়েন্ট ছিল ১, আর পোল্যান্ডের ৪। গোল ব্যবধানেও স্পষ্টই এগিয়ে ছিল পোল্যান্ড, লেভান্ডভস্কিদের গোল ব্যবধান ছিল +২, আর মেক্সিকোর -২। ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে নিজেদের জিততে হতো অন্তত দুই গোলে, আর পোল্যান্ডের তিন গোলে হার কামনা করতে হতো দলটির।

৪৭ আর ৫৩ মিনিটে দুটো গোল করে সে আশা ভালোভাবেই জাগিয়ে তোলে মেক্সিকানরা। যার শেষটা করেন লুইস শ্যাভেজ। এর আগে থেকেই অবশ্য মেক্সিকোর মাঝমাঠে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দুটো বড় সুযোগও তৈরি করেছিলেন, মাঝমাঠের দখলটা নিয়ে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়তর জায়গায়।মেক্সিকানদের হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম গোলও করেছেন।

সবকিছুর মিশেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও তিনিই হয়েছেন। তবে এতসব অর্জন ম্লান হয়ে গেছে দলের শেষ ষোলোয় উঠতে না পারায়। তাই লুইস শ্যাভেজ ম্যাচ শেষে হয়ে রইলেন মেক্সিকোর ট্র্যাজিক হিরোই।

এনইউ