‘ই’ গ্রুপটা বিশ্বকাপের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দিনটাই উপহার দিয়ে দিলো যেন। জিতেও বাদ জার্মানি, হেরেও শেষ ষোলোয় স্পেন। শেষ দিনে এমন রোমাঞ্চের গল্পটা মূলত লিখেছে জাপান, হারিয়েছে স্পেনকে, তাতে কপালটা পুড়েছে জার্মানির।

জাপানের এই অবিস্মরণীয় জয়টা নিশ্চিত হয়েছে ম্যাচের ৫১ মিনিটে আও তানাকার গোলে। সেই গোলই ব্লু সামুরাইদের এনে দিয়েছে ২-১ গোলের দারুণ এই জয়। তানাকা জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারটা।

তবে জাপানের এই জয়ে তানাকার গুরুত্বটা কেবল এই গোলেই শেষ নয়! তার পারফর্ম্যান্সটা তার পরিসংখ্যান দিয়েও বোঝানো সম্ভব নয়। গোলটা একপাশে রাখুন, পুরো ম্যাচে তিনি খেলেছেন ২৯টা পাস, যার ৩৮ শতাংশই ভুল। সুযোগ তৈরি করেছেন ১টা। গ্রাউন্ড ডুয়েল আর এরিয়াল ডুয়েলে নির্ভুল হলেও তা সংখ্যায় খুব বেশি নয়; যথাক্রমে ২ ও ১টা ডুয়েলে জিতেছেন তিনি।

তার গুরুত্বটা বুঝতে হলে দেখতে হবে বল ছাড়া তার উপস্থিতিকে। দ্বিতীয়ার্ধে যখন হাই প্রেসের কৌশলে স্পেনের মাঝমাঠের দখলকে ভেঙে চুরে দিয়েছিলেন কোচ হাজিমে মরিয়াসু, সেখানেই সবচেয়ে বড় নিয়ামক হয়ে উঠেছেন তিনি। বারবার প্রেস করে স্পেনের রক্ষণকে তাদের মতো করে খেলতে দেননি, ফলে স্প্যানিশরাও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। 

এসব তো ছিলই, সঙ্গে তিনি করেছেন দলের জয়সূচক গোলটা। তাতেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তার হাতে। 

এনইউ