‘সোনার এই মুকুট পরে/অভিষেকের গৌরবে...কী হবে/জীবনে তোমায় যদি পেলাম না’ – সন্ধ্যা মুখোপধ্যায়ের এই গানটা কাই হ্যাভার্টজ শোনেননি কোনোদিন। তবে শুনতেন যদি, তাহলে আজকের পরিস্থিতির সঙ্গে যে মিলিয়ে ফেলতে পারতেন, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।

কাই হ্যাভার্টজ আজ বদলি হিসেবে এসেই জার্মানি-কোস্টারিকা ম্যাচের গতি বদলে দিয়েছেন। জোড়া গোল করেছেন, হয়ে গেছেন ম্যাচসেরাও। কিন্তু ম্যাচসেরা হয়ে কী হবে? দলই যদি বিশ্বকাপ থেকে ঝরে যায়! হ্যাভার্টজ তাই এমন অর্জন করেও সুখীদের দলে নাম লেখাতে পারেননি। সেরার পুরস্কারটা নেওয়ার সময় তার অভিব্যক্তি দেখেই বলে দেওয়া যাচ্ছিল বৈকি!

হ্যাভার্টজ আজ মাঠে নেমেছেন ম্যাচের ৬৭ মিনিটে, দুই দল যখন ১-১ সমতায়। এসেই দলকে দেখেছেন আরও এক গোল হজম করে পিছিয়ে পড়তে। চেলসির এই ফরোয়ার্ড এরপরই জ্বলে উঠেছেন। গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ার তিন মিনিটের ভেতর করেছেন সমতাসূচক গোলটা।

৮৫ মিনিটে করেছেন আরও এক গোল, যা জার্মানিকে এনে দিয়েছে ৩-২ গোলের লিড। পরে নিকলাস ফুলক্রুগের লক্ষ্যভেদে জার্মানি ম্যাচটা শেষ করেছে ৪-২ ব্যবধান নিয়ে। তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি। জাপানের কাছে স্পেন ২-১ গোলে হেরে বসায় জার্মানদের বিদায় নিতে হয়েছে ৪ পয়েন্ট নিয়ে।

তবে তাতে হ্যাভার্টজের কীর্তিটা ম্লান হয়ে যায়নি একটুও। জোড়া গোল করে জার্মানিকে ম্যাচটা জেতানোয় ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তার হাতে। তবেন হ্যাভার্টজের বিষাদমাখা অভিব্যক্তি বলে দিচ্ছিল, সেটা তাকে সান্ত্বনার চেয়ে তার কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটাই দিয়েছে বেশি!