সারা বিশ্বে এখন আলোচনায় জাপানের দ্বিতীয় গোল। কেউ বলছেন বল লাইন অতিক্রম করেছিল, আবার কেউ বলছেন একদম ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রাংশ লাইনের উপর ছিল। এই বিশ্বকাপে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জাপানের গোল। 

কাতারের দোহার মেইন প্রেস সেন্টারেও আজ সকাল থেকে আলোচনায় চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিদায় এবং জাপানের দ্বিতীয় গোল। প্রায় এক হাজার আসন বিশিষ্ট মেইন প্রেস সেন্টারে সকালের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো জার্মান সাংবাদিকদের দেখা যায়নি। কয়েকজন জাপানিজ সাংবাদিককে পাওয়া গেছে। তাদের দৃষ্টিতে দ্বিতীয় গোলটি বৈধই।

জাপানের সাংবাদিক তাকাশি তিনটি বিশ্বকাপ কাভার করেছেন। তার কাছে গোলটি বৈধই, ‘এখন খেলাটি অনেক প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির উপর সবার বিশ্বাস রাখা উচিত। প্রযুক্তি ভুল করতে পারে না।’ তার সঙ্গে একমত জাপানের আরেক সাংবাদিক শিনতারা, ‘অবশ্যই এটা কঠিন সিদ্ধান্ত এবং আলোচনাযোগ্য। এরপরও ফিফার আইন এবং প্রযুক্তির হিসেবে এটি গোল এবং আমরা গ্রপ চ্যাম্পিয়ন।’
 
দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের গ্রুপে জাপান সেরা। সেই কীর্তিটি খানিকটা ছাপিয়ে গেছে দ্বিতীয় গোল বিতর্কে। ওই গোল না হলে ম্যাচটি ড্র হতে পারত। সেক্ষেত্রে স্পেন ও জার্মানি এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলত। জাপানের সেই আলোচিত গোলে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাদ পড়ায় বিশ্ব মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা। জাপানের সাংবাদিকরা এটিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন, ‘জার্মানির মতো দল শেষ ম্যাচে হেরেও বাদ পড়েছে। এই গোলটি বৈধ হলেও আলোচনাযোগ্যই। ফলে এটা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় রিপোর্ট হতেই পারে। তবে আইন ও প্রযুক্তির সঙ্গে থাকতে হবে।’

ই গ্রুপে ছিল দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও স্পেন। সেই দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েছে জাপান। দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে ই গ্রুপের সেরা হয়েছে এশিয়ার দলটি। জাপানী সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি এখনো অবিশ্বাস্যই লাগছে, ‘আমরা ফুটবলে উন্নতি করছি। কিন্তু দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে এক সপ্তাহের মধ্যে হারানো এবং গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা অবশ্যই অবিশ্বাস্যের মতোই।’
 
জাপান ই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে জাপানের সর্বোচ্চ অর্জন দ্বিতীয় রাউন্ড। তিন বারই ঐ পর্যায় থেকে তারা বিদায় নিয়েছে। গত রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেও জাপান দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়। স্পেন জার্মানিকে হারানো জাপানকে অনেকে সেমি পর্যন্ত দেখলেও জাপানিজ সাংবাদিক সিনতারা কোয়ার্টারে উঠলেই তৃপ্ত হওয়ার কথা বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শেষ আট। কোয়ার্টারে কখনো খেলতে পারিনি। সেটাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য।’

এজেড/এনইআর